এর মধ্যে আড়াই লাখের রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী রোগ।
দেশে প্রায় ৫০ লাখ শিশু বিভিন্ন ধরনের কিডনি সমস্যায় ভুগছে, যার মধ্যে প্রায় ৫ শতাংশ শিশু দীর্ঘস্থায়ী বা ক্রনিক কিডনি রোগে আক্রান্ত।
শিশুদের মধ্যে কিডনি রোগের বিষয়ে সচেতনতা ও চিকিৎসার উন্নয়নে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইসিএইচ) আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা এই তথ্য প্রকাশ করেন।
দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস নিয়ে ১০টি সেশনের মাধ্যমে চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
সম্মেলনের আলোচনায় বক্তারা জানান, দেশে কিডনি রোগের সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও কিডনিজনিত সমস্যায় প্রায় ২ কোটি মানুষ আক্রান্ত থাকতে পারে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু।
বিশেষজ্ঞরা জানান, জন্মগত সমস্যা, ডায়রিয়ার পরে কিডনির তীব্র সমস্যা এবং নেফ্রাইটিসের প্রদাহ শিশুদের কিডনি রোগের মূল কারণ। ডায়রিয়ার কারণে শিশুর কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকি প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় প্রায় ২৯ শতাংশ বেশি।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের অ্যাকাডেমিক পরিচালক অধ্যাপক খাদিজা রহমান।
প্রশিক্ষণ কোর্সের পরিচালক অধ্যাপক আজমেরি সুলতানা, কোর্সের কো-চেয়ারম্যান অধ্যাপক নব কৃষ্ণ ঘোষ, এবং পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আফরোজা বেগম সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিডিকেআইডিএস ২০২৪-এর উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ এবং কোর্সের চেয়ারপারসন অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহিদুল্লাহ।
প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক নাজমুন নাহার। ভারতের অধ্যাপক আর এন শ্রিভাস্তাভা, সিঙ্গাপুরের অধ্যাপক ইয়াপ হুই কিম, এবং বাংলাদেশের অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ, অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহিদুল্লাহ ও অধ্যাপক নাজমুন নাহারকে আজীবন সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
সম্মেলনের আয়োজক ও কোর্সের পরিচালক অধ্যাপক আজমেরি সুলতানা বলেন, “এই প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য শিশুর কিডনি রোগে মৃত্যুহার কমানো। চিকিৎসক ও নার্সদের দক্ষতা বৃদ্ধি পেলে প্রাথমিকভাবে পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে শিশুদের মৃত্যুহার কমানো সম্ভব হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: