বয়স ৪০ পার হয়েছে! ভাবছেন কিভাবে জাপান বা কোরিয়ার মেয়েদের মতো তারুণ্য ধরে রাখবেন ? তাহলে আপনাকে জানিয়ে রাখি, দৈনন্দিন জীবনে সঠিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চললে ত্বক এমনিই ভালো থাকে। সেই সাথে এমন কিছু ফ্যাশন ট্রিকস রয়েছে, যেগুলি মেনে চললে আপনাকে মনে হবে অল্পবয়সী তরুণী।
নিখুঁত আর সুন্দর ত্বকের অধিকারী হলো জাপানি বা কোরিয়ানরা। তবে কোরিয়ানরা মনে করেন, সৌন্দর্য ঈশ্বর প্রদত্ত হলেও তা ধরে রাখার দায়িত্ব নিজের ওপরই নির্ভর করে। এর জন্য অবশ্যই একটু পরিশ্রমের প্রয়োজন রয়েছে।অন্য সব জাতির তুলনায় এই দেশগুলোর মেয়েরা একটু বেশি সুশৃঙ্খল। বিশ্বের সব দেশের মানুষই যখন অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে সেখানে কোরিয়ান লাইফস্টাইল সত্যি অবাক করার মতো। আপনি যদি কোরিয়ানদের মতো সৌন্দর্য আর ফিটনেস পেতে চান তাহলে খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চা তো বটেই তার পাশাপাশি ভরসা রাখতে হবে ঘরোয়া উপায়ে।
বয়স ৩৫ পেরতেই মুখে বলিরেখা প্রকট হয়, ত্বকের টানটান ভাব হারিয়ে যায়। সঠিক সময়ে অ্যান্টি-এজিং স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে ত্বকের পরিচর্যা করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। জাপানি বা কোরিয়ানরা সবসময় এই বিষয়ে সচেতন থাকে।রূপচর্চা নিয়ে কোরিয়ার নানা রকম টোটকা বা ঘরোয়া উপায় এখন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। আসুন, তাদের ত্বকের সৌন্দর্যের গোপন রহস্যগুলো জেনে নেই ।
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য সপ্তাহে অন্তত দু’দিন গরম পানির ভাপ নিন। এই টোটকা কোরিয়ানরা খুবই নিষ্ঠাভরে মেনে চলেন। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে ময়শ্চারাইজার। আপনার ত্বককে আরও বেশি জেল্লাদার করে তোলে। তাই প্রতিদিন ফেসিয়াল ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। শরীরের অন্যান্য অংশেও ময়শ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না।
ত্বক ভালো রাখার জন্যে নিজের জীবনশৈলীর দিকেও নজর দেওয়া উচিত। তাই প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। অস্বাস্থ্যকর জাঙ্কফুড এবং প্রসসেড খাবার এড়িয়ে চলুন। শাক-সবজি খান।
আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত না হয়, তবে ‘ই’ ক্যাপসুলে থাকা তেল মুখে লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। আর যদি ত্বক তৈলাক্ত হয়, তবে তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন গোলাপের পানি।
দীর্ঘদিনের পুরোনো দাগ যেমন: হাতের কনুই বা হাঁটুর গাঢ় কালো দাগ, চোখের নিচে কালো দাগ, বলিরেখা দূর করতে সপ্তাহে তিন দিন ‘ই’ ক্যাপসুলের তেল সে স্থানে ম্যাসাজ করে ব্যবহার করতে পারেন।
গোলাপি আর মসৃণ ঠোঁট পেতে নিয়মিত রাতে অলিভ ওয়েল বা নারিকেল তেলে সঙ্গে চিনি মিশিয়ে ঠোঁটে স্ক্রাবিং করুন। ভেজা সুতির কাপড় দিয়ে মরা কোষগুলো সরিয়ে নিন। এরপর ঠোঁটে লাগিয়ে নিন ভালো ব্র্যান্ডের কোনো লিপ বাম।
রেটিনল, নিয়াসিনামাইড, আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড, ভিটামিন সি এবং এ আছে এমন স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমও প্রয়োজন। ঘুমের মধ্য়ে আপনার শরীর নিজেকে রিপেয়ার করে। ঠিকঠাক ঘুম না হলে ত্বকেও তার প্রভাব পড়ে।
সেই সাথে বয়স বাড়লেও মনে থাকুক আঠারোর রঙিন ছোঁয়া! এটাই যে চিরতরুণ হয়ে ওঠার অন্যতম রহস্য, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এই কথাটি শুধু জীবনধারণের সময়ে মনে রাখলেই চলবে না, স্টাইলিংয়ের ক্ষেত্রেও একই মিয়ম মেনে চলতে হবে অক্ষরে অক্ষরে। তাই এমন পোশাক পরতে হবে বা স্টাইল করতে হবে, যাতে ৪০-এও আপনাকে দেখে মনে হয় ২৫-এর তরুণী! তাই আপনি ঠিক যেমন ধরনের পোশাকে কম্ফোর্টেবল, তেমন আউটফিটেই নজর কাড়ুন। সেরকম পোশাকেই দিন আধুনিক ছোঁয়া আর হয়ে উঠুন অনন্যা।
এসআর
মন্তব্য করুন: