বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবিকে ১/১১-এর সরকার গঠনের প্রেক্ষাপটের পুনরাবৃত্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। সমালোচকরা বলছেন, ১/১১-এর রাজনৈতিক বন্দোবস্ত থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটে।
মহাসচিবের বক্তব্যে আরেকটি ১/১১ সরকার, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি এবং গুম-খুন ও বিচারহীনতার ধারাবাহিকতার ইঙ্গিত রয়েছে।
ছাত্র ও অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকে কোণঠাসা করার পরিকল্পনার প্রসঙ্গেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার লড়াইয়ের সময় অনেক জাতীয় নেতা ক্যান্টনমেন্টে আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন। যদিও আন্দোলনের পক্ষ থেকে সেনাশাসন বা জরুরি অবস্থাকে মেনে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত আগে থেকেই পরিষ্কার ছিল।
এক পর্যায়ে বঙ্গভবনে বার্গেনিংয়ের মাধ্যমে ড. ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও ছাত্ররা একটি জাতীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছিল, যেখানে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সমন্বয় থাকার কথা ছিল।
এদিকে বিএনপির বর্তমান নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আরেকটি ১/১১ সরকার আনার ইঙ্গিত বহন করে বলে মনে করা হচ্ছে। ছাত্র-জনতা মনে করে, এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী।
বিএনপির জাতীয় সরকার গঠনের অনাগ্রহ এবং অভ্যুত্থানের পর দেশের প্রয়োজনীয় বাস্তবতায় ছাত্রদের অবস্থানকে অগ্রাহ্য করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিএনপিকে আহ্বান জানানো হয়েছে, তারা যেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে না গিয়ে বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতির পথে আসে।
“বাংলাদেশ দুর্বল কারণ এটি সহজে বিভক্ত করা যায়।” বক্তারা মনে করেন, দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের অভাবে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা যাচ্ছে না, যা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এসআর
মন্তব্য করুন: