ঢাবিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ‘জুতা নিক্ষেপ’, সামাজিক মাধ্যমে নিন্দার ঝড়!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ‘জুতা নিক্ষেপ’ কর্মসূচি পালন করেছেন একদল শিক্ষার্থী। রোববার দুপুরে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট কোয়ালিশন’ ব্যানারে তারা এ কর্মসূচি আয়োজন করেন।

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কোয়ালিশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম তানিম বলেন, “শেখ মুজিবকে এতদিন দেবতুল্য আসনে বসিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের একমাত্র দুর্ভিক্ষ তার শাসনামলে হয়েছে, যা দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার ফল।

“ওই সময় একদিকে মানুষ দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছিল, আর অন্যদিকে তিনি তার ছেলের বিয়ের জন্য সোনার মুকুট এনেছিলেন। এ থেকেই বোঝা যায়, রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তিনি কতটা ব্যর্থ ও জনবিচ্ছিন্ন ছিলেন।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের উত্তর দিকে মেট্রোরেলের একটি পিলারে শনিবার রাতে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি আঁকা হয়। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা এ তথ্য জানান।

তানিম আরও বলেন, “শেখ মুজিব নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। তিনি যে ধরনের স্বৈরশাসক ছিলেন, তা সঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়নি; বরং এসব তথ্য চাপা রাখা হয়েছে।

“আমরা গতকাল রাতে এই প্রতিকৃতি আঁকিয়েছি। বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে এখানে মানুষ তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত।”

কোয়ালিশনের মুখপাত্র তাসনিম বলেন, “পাঠ্যপুস্তক থেকে সঠিক ইতিহাস লুকানো হয়েছে। আমাদের কাছে সত্য ঘটনাগুলো আড়াল করা হয়েছিল।

“বর্তমানে এসব সত্য প্রকাশ্যে আসছে। এখন আমাদের আর জেলে যাওয়ার বা নিপীড়নের ভয় নেই।”

তিনি আরও বলেন, “৭২ সালের পর মুজিব একজন স্বৈরশাসকে পরিণত হয়েছিলেন। বাকশাল গঠন করে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। মুজিবকে দেবতুল্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে শেখ হাসিনা তার প্রচারণা চালিয়েছেন। সেই ক্ষোভ থেকেই আজকের কর্মসূচি।”

এই কর্মসূচি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ একে বিদ্রোহী চেতনা হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ জাতির পিতার প্রতি এই ধরনের আচরণকে ঘৃণ্য ও অগ্রহণযোগ্য বলে নিন্দা জানিয়েছেন।