দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে হিজাব পরার কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেত্রীকে টকশোতে অংশ নিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ তাদের সহকারী প্রযোজক (অনিয়মিত) আতোয়ার শিকদারকে দায়িত্বহীন আচরণের অভিযোগে অব্যাহতি দিয়েছে। বিষয়টি চ্যানেলটি তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ বিশেষ সেলের সহ-সমন্বয়ক নাফিসা ইসলাম সাকাফিকে একটি টকশোতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। নাফিসা জানান, তিনি হিজাব পরে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চান। তবে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ তাকে জানায়, হিজাব পরে টকশোতে অংশগ্রহণ সম্ভব নয়।
নাফিসা আরও জানান, তিনি নিকাবের পরিবর্তে মাস্ক পরে টকশোতে অংশগ্রহণের প্রস্তাব দেন, কিন্তু টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ সেটিও প্রত্যাখ্যান করে এবং তার পরিবর্তে অন্য একজনকে আমন্ত্রণ জানায়।
এই ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা শুরু হলে চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে জানায়, “৩৬ জুলাই” অনুষ্ঠানের সহকারী প্রযোজক আতোয়ার শিকদার অতিথির সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগের সময় দায়িত্বহীন বক্তব্য দিয়েছেন। এটি প্রতিষ্ঠানটির নীতি ও চর্চার পরিপন্থী। এ কারণে আতোয়ার শিকদারকে সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
নাফিসা ইসলাম সাকাফি তার ফেসবুক পোস্টে এই ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, টকশোতে তার অংশগ্রহণের জন্য বারবার শর্ত আরোপ করা হয়, যা শেষ পর্যন্ত তাকে বাদ দেওয়ার মাধ্যমে শেষ হয়।
ঘটনার পর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা ফেসবুকে এ বিষয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
চ্যানেল আই-এর এই পদক্ষেপ এবং পুরো ঘটনা নিয়ে এখনো বিভিন্ন মহলে বিতর্ক চলমান।
এসআর
মন্তব্য করুন: