বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মো. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশের বিচারব্যবস্থায় মানুষ ন্যায্য বিচার পাচ্ছে না, আর ঘুষ-দুর্নীতি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে জামায়াতে ইসলামী এমন একটি সুশাসন নিশ্চিত করতে চায়, যেখানে কোনো বিচারক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী ঘুষ গ্রহণের সাহস করবে না। কেউ ঘুষ নেওয়ার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) মাগুরার নোমানী ময়দানে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে মানবিক সরকার গঠনের মাধ্যমে দুর্নীতি ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
ঘুষ ও দুর্নীতিকে সমাজের “ক্যান্সার” হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি দেশ চাই, যেখানে সাংবাদিকরা মুক্তভাবে সত্য প্রকাশ করতে পারবেন। ঘুষ ও দুর্নীতি দূর না করলে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়।”
চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের বিষয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “জামায়াতে ইসলামী অতীতে চাঁদাবাজি করেনি, বর্তমানে করছে না, ভবিষ্যতেও করবে না। আল্লাহ যদি আমাদের দেশ পরিচালনার সুযোগ দেন, কাউকে চাঁদাবাজি বা দখলদারিত্ব করতে দেওয়া হবে না।”
তিনি উল্লেখ করেন, “আমাদের দলের দুজন মন্ত্রী অতীতে দায়িত্ব পালন করেছেন। কেউ প্রমাণ করতে পারবে না যে তারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তারা জনগণের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে আমরা একটি মানবিক দেশ উপহার দিতে চাই। যেখানে নারীরা ঘরে নিরাপদ, রাস্তায় সম্মানিত এবং কর্মক্ষেত্রে মর্যাদাপ্রাপ্ত হবেন।”
২০০৯ সালে শুরু হওয়া খুন, গুম ও ধর্ষণের রাজনীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আমরা সেই রাজনীতির কবর রচনা করব। আমাদের সন্তানরা ন্যায্য বিচারের দাবিতে রাজপথে স্লোগান দিয়েছে। বৈষম্যহীন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মাগুরা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক এমবি বাকের। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মো. মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য আবদুল মতিন, ড. আলমগীর বিশ্বাস এবং মাওলানা আজিজুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সাঈদ আহমদ বাচ্চু।
এসআর
মন্তব্য করুন: