বাংলাদেশি লেখক ও প্রবাসী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, ভারতের প্রায় ৪৫ শতাংশ প্র্যাকটিসিং ডাক্তার কোনো ফরমাল মেডিক্যাল ডিগ্রি ছাড়াই কাজ করছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, “জ্বি, ঠিকই শুনেছেন। ৪৫% ডাক্তার ভুয়া। এটা আমার কথা নয়, রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সংখ্যা প্রায় সাত লাখ। এই ভুয়া ডাক্তাররা বড় বড় হাসপাতালে কাজ করছেন এবং এমনকি সার্জারিও করছেন। দুইজনের মধ্যে একজন ডাক্তার ভুয়া হতে পারে।”
পিনাকী আরও বলেন, ভারতে ভালো ডাক্তার ও হাসপাতাল যেমন আছে, তেমনি অত্যন্ত খারাপ মানের ৩৯৮টি মেডিক্যাল কলেজও রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, এই মেডিক্যাল কলেজগুলোতে নেই কোনো মানসম্পন্ন শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষার পরিবেশও অনুপস্থিত।
তিনি জানান, নিয়মিত অডিটের সময় এসব কলেজ প্রতারণার আশ্রয় নেয়। “যখন পরিদর্শকরা আসেন, তখন আশপাশের গ্রামে প্রচার চালানো হয় যে বিদেশি ডাক্তাররা এসে ফ্রি চিকিৎসা দেবেন,” বলেন তিনি।
পিনাকীর মতে, এই ৩৯৮টি মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে প্রতি ৬টি কলেজে অন্তত ১টি এমন, যা এভাবে প্রতারণার আশ্রয় নেয়। ফলে প্রতি ৬ জন ডাক্তারের মধ্যে ১ জন এমন একটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাস করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এটা কোনো নাম না জানা সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন নয়, রয়টার্সের রিপোর্ট।”
পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, “এই ডাক্তারদের কাছে চিকিৎসা নিতে যাবেন?”
এ বক্তব্য স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন তুলে ধরে।
এসআর
মন্তব্য করুন: