কুমিল্লার লালমাই উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল মোতালেব একটি হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে কারাগারে রয়েছেন। তবে মায়ের মৃত্যুতে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মাকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন তিনি।
জানাজা ও মায়ের লাশ বহনের সময় তার হাতে হাতকড়া ছিল, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৯টা ২০ মিনিটে ১১৭ বছর বয়সে আবদুল মোতালেবের মা হাফেজা খাতুন মারা যান। মায়ের জানাজা ও দাফনে অংশ নিতে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তির অনুমতি দেন। সোমবার দুপুর ২টার দিকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দুতিয়াপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে মায়ের জানাজায় অংশ নেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি প্রথমে বাড়িতে যান, মায়ের মরদেহ দেখেন এবং পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন। এরপর হাতকড়া পরেই মায়ের জানাজা ও লাশ বহনে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, “আমার নসিব খারাপ। ২০০২ সালে যখন আর্মিরা আমাকে ধরেছিল, তখন বাবাকে হারিয়েছি। এবার মা মারা গেলেন। সবাই আমার মা-বাবার জন্য দোয়া করবেন।”
আবদুল মোতালেব ১২ ডিসেম্বর থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি। আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, ১১ ডিসেম্বর যুবলীগ নেতা আবদুর রহমানকে আটক করা হয়। পরদিন ডিবি কার্যালয়ে আবদুর রহমানকে দেখতে গেলে, আবদুল মোতালেবসহ আরও দুই নেতাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম জানিয়েছেন, “আসামি হিসেবে নিরাপত্তার স্বার্থে হাতকড়া পরানো হয়েছে। তবে ডান্ডাবেড়ি দেওয়া হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী সব কিছু করা হয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়নি।”
হাতকড়া পরা অবস্থায় মায়ের জানাজায় অংশ নেওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: