আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ইসকনের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি এবং সব সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, “চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। এ ঘটনা মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘন করেছে। একজন পেশাদার আইনজীবী তার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এমন নির্মম হত্যার শিকার হয়েছেন। যারা এ অপরাধে জড়িত, তারা সন্ত্রাসী। তাদের যে-ই হোক না কেন, শাস্তি পেতেই হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যদি অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী সরকার এই সন্ত্রাসীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারাও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে শাস্তির মুখোমুখি হবে।”
দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “এই ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।”
বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান ক্ষমতাসীনরা প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। তিনি বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে তারা ব্যর্থ হয়েছে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতনের ঘটনাগুলো তীব্র নিন্দা জানাই।”
শেখ হাসিনা বলেন, “সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। চট্টগ্রামে মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে মসজিদ, মাজার, গির্জা, মঠ এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে আক্রমণ চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সব সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর চলমান হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার এবং হয়রানির নিন্দা জানিয়ে বলেন, “আমি এসব নৈরাজ্যবাদী কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”
এসআর
মন্তব্য করুন: