[email protected] মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫
২৩ পৌষ ১৪৩১

দাবদাহের পর অতিবৃষ্টির আশঙ্কা দক্ষিণ এশিয়ায়


প্রকাশিত: ১ মে ২০২৪ ৫:৪৬ পিএম

বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণ এশিয়ার বিশাল অংশে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে এসএসিওএফ

তীব্র গরমে পুড়ছে বাংলাদেশ, ভারতসহ গোটা দক্ষিণ এশিয়া। কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ উঠছে ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। এমন আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। একফোঁটা বৃষ্টির আশায় দিন গুনছে মানুষ। আশার কথা হলো, কিছুদিনের মধ্যেই দেখা দিতে পারে বহুল প্রত্যাশিত সেই বৃষ্টি। তবে সেই সঙ্গে খারাপ খবরও রয়েছে!

চলতি বছর আসন্ন বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ জায়গায় অতিবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। অর্থাৎ, ভয়ংকর গরমের পর মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিতেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে এ অঞ্চলের মানুষ। গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট আউটলুক ফোরাম (এসএসিওএফ) এক প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।

 

সংস্থাটি বলেছে, ২০২৪ সালের দক্ষিণপশ্চিম বর্ষা মৌসুমে (জুন-সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। তবে উত্তর, পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হতে পারে।

মূলত আবহাওয়ার লা নিনা দশার কারণে এবারের বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণ এশিয়ার বিশাল অংশে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে এসএসিওএফ।

পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের পেরু-ইকুয়েডর উপকূল বরাবর কোনো কোনো বছর দক্ষিণমুখী উষ্ণ সামুদ্রিক স্রোতের প্রবাহ লক্ষ্য করা যায়। এটিকে এল নিনো বলা হয়। এর বিপরীত দশার নাম লা নিনা। এল নিনোর প্রভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় যেমন অতিরিক্ত তাপমাত্রা, খরা সৃষ্টি হয়, তেমনি লা নিনার প্রভাবে অতিবৃষ্টির আশঙ্কা থাকে।

এসএসিওএফ জানিয়েছে, বর্তমানে মাঝারি মাত্রায় এল নিনো পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বর্ষা মৌসুমের প্রথমার্ধে এনসো (এল নিনো-সাউদার্ন অসিলেশন) নিরপেক্ষ অবস্থায় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে লা নিনার প্রভাব দেখা দিতে পারে।

 

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ডিএস পাই বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, এল নিনোর বিপরীত অবস্থা হচ্ছে লা নিনা। বর্ষা মৌসুমে ‘স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি’ বৃষ্টিপাত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণে এটি।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর