প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, পরিবেশগত অবক্ষয়ের কারণে বাংলাদেশ চরম ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘পরিবেশগত ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখা: একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বিচারকদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, বন উজাড়, শিল্প দূষণ ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে পরিবেশের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এই সংকট মোকাবিলায় বিচার বিভাগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষায় আদালত বিভিন্ন জনস্বার্থ মামলায় আইনগত হস্তক্ষেপ ও সাংবিধানিক আদেশ দিয়ে এসেছে। নদী সুরক্ষা, বায়ুর মান নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশ আইন প্রয়োগে যুগান্তকারী রায় তারই প্রমাণ।
তিনি আরও বলেন, সুন্দরবন বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। এটি শুধুমাত্র বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনই নয়, বরং এটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার, ইরাবতী ডলফিনসহ বহু প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল।
একই সঙ্গে এটি উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে কাজ করে এবং কার্বন শোষণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব হ্রাসে সহায়তা করে।
সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ব্রাজিলের ন্যাশনাল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আন্তোনিও হারমান বেঞ্জামিন।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব স্বাগত বক্তব্য দেন।
এ সময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস উপস্থিত ছিলেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: