[email protected] মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
১৬ পৌষ ১৪৩১

সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামছেন ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২৪ ৫:৪৯ পিএম

ফাইল ছবি

সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়া ও রাত্রিযাপন সীমিতকরণ ও সাময়িক বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাস, হোটেল ও জাহাজ মালিকরা কঠোর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।

পর্যটননির্ভর এ দ্বীপের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দার জীবিকা হুমকির মুখে পড়ায়, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা এবার সরাসরি রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সম্প্রতি সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিনে পর্যটকরা রাত্রিযাপন করতে পারবেন না।

ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দিনে ২,০০০ জন পর্যটক ভ্রমণ করতে পারবেন এবং রাতে থাকতেও পারবেন। তবে ফেব্রুয়ারি মাসে সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা হবে।

সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান শিবলুল আজম কোরেশি বলেন, "এ ধরনের সিদ্ধান্তে পর্যটন শিল্পে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে এবং বহু উদ্যোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।" তিনি আরও জানান, দ্বীপকে ঘিরে ষড়যন্ত্র করে পর্যটন খাতকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চলছে।

আগামীকাল সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ঢাকার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোট’ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান।

এই কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে যোগ দেবেন টোয়াব, ই-ট্যাব, কক্সবাজার ও কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন, সেন্টমার্টিন হোটেল মালিক সমিতি, দোকান মালিক সমিতি, বোট মালিক সমবায় সমিতি, মৎস্যজীবী মালিক সমিতি, সি-ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ পর্যটনসংশ্লিষ্ট সব সংগঠনের নেতারা।

দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা কমিটি বেশ কিছু সুপারিশও করেছে।

তারা বলছে, লোনা পানি মিঠা করতে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন, বর্জ্য পুনর্ব্যবহারে বায়োগ্যাস প্লান্ট, পরিবেশবান্ধব সোলার প্লান্ট, এবং ইট-বালু ব্যবহার করে স্থায়ী স্থাপনা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর