[email protected] শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
৫ পৌষ ১৪৩২

আমার গানের গলার ক্রেডিট শাবনূরকেই দিতে চাই : কনকচাঁপা

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ৮:২০ পিএম

একজন পর্দার সামনে, অন্যজন কণ্ঠের আবহে—ঢাকাই চলচ্চিত্রের

সোনালি দিনের কথা উঠলেই যে দুটি নাম একসঙ্গে উচ্চারিত হয়, তারা হলেন শাবনূর ও কনকচাঁপা। এই দুই শিল্পীর মেলবন্ধনে একসময় বাংলা সিনেমা পেয়েছে অসংখ্য কালজয়ী গান। শাবনূরের জন্মদিন উপলক্ষে এক আবেগঘন স্মৃতিচারণে সেই সময়ের অনেক না-বলা কথাই তুলে ধরেছেন কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা।

বুধবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে কনকচাঁপা লেখেন, ‘শাবনূর—একটি পরিপূর্ণ প্রতিভাময় শিল্পীর নাম, যাকে বাংলাদেশ কখনোই ভুলতে পারবে না।’ তিনি বলেন, শাবনূরের অভিনয়শৈলী, উচ্চারণ, শারীরিক সৌন্দর্য, চাঁদপানা মুখ আর প্রাণবন্ত হাসি কয়েক যুগ ধরে দর্শকদের মুগ্ধ করে রেখেছে। এমন প্রতিভা শত জনমে একজনের মধ্যেই দেখা যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শাবনূরের অভিনয় জীবনের প্রায় সব গানের দৃশ্যে কণ্ঠ দিয়েছেন কনকচাঁপা। এই দীর্ঘ পথচলা নিয়ে তিনি বলেন,
‘তার ১০০টি গানের মধ্যে ৯৯টিই আমার গাওয়া। আমরা যেন দুই দেহে এক প্রাণ। আমি আমার মতো করে গেয়েছি, তিনি তার মতো করে অভিনয় করেছেন। কিন্তু পর্দায় দেখে আমারই মনে হয়েছে—এই কণ্ঠটা যেন তারই। এই একাকার হয়ে যাওয়ার পুরো কৃতিত্ব আমি শাবনূরকেই দিতে চাই।’

ব্যক্তিগত জীবনে শাবনূরের সঙ্গে খুব বেশি দেখা হয়নি বলেও জানান কনকচাঁপা। রেকর্ডিং স্টুডিও আর শুটিং সেট আলাদা হওয়ায় এমনটা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, শাবনূরের ব্যক্তিত্ব অত্যন্ত সহজ-সরল। তার স্বাভাবিক হাসি দেখলে মনে হয় না, তিনি পর্দায় এত গভীর ও সিরিয়াস চরিত্রে অভিনয় করেন।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে একসঙ্গে কাজ করলেও শাবনূর-কনকচাঁপাকে নিয়ে কোনো বিশেষ টেলিভিশন অনুষ্ঠান না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন কনকচাঁপা। তিনি লেখেন,
‘এই দেশে মূল্যায়ন পাওয়া খুব কঠিন। তবে আমার বিশ্বাস, একদিন আমার গান আর শাবনূরের অভিনয়ের সমন্বয় নিয়ে গবেষণা হবে।’

এদিকে জন্মদিন উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্ত ও সহকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন শাবনূর। কেক কাটার একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘এই ভালোবাসাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ও অনুপ্রেরণা।’

উল্লেখ্য, নব্বই দশকের মাঝামাঝি থেকে পরবর্তী এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শাবনূর-কনকচাঁপা জুটি দর্শকদের উপহার দিয়েছে অসংখ্য জনপ্রিয় ও কালজয়ী গান, যা আজও বাংলা চলচ্চিত্রপ্রেমীদের হৃদয়ে অমলিন।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর