[email protected] বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

১৮ ডিসেম্বর জবাব দাখিলের নির্দেশ, নাটকীয় দিনের শেষে জামিন পেলেন মেহজাবীন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ৮:১০ পিএম

সংগৃহীত ছবি

২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দিনভর টানাপোড়েনের পর অবশেষে জামিন পেয়েছেন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরী।

রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩–এর বিচারক আফরোজা হক তানিয়ার আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তারা। শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন এবং মামলার জবাব দাখিলের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন।

মেহজাবীনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তুহিন হাওলাদার জানান,
“বাদীর সঙ্গে মেহজাবীনের কোনো পরিচয় নেই। সম্পূর্ণ হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলাটি করা হয়েছে। অভিযোগের কোনো প্রমাণই দেখাতে পারেনি বাদীপক্ষ।”

এই মামলার বাদী আমিরুল ইসলামকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে নতুন জটিলতা। সকালে যিনি গণমাধ্যমকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবর নিশ্চিত করেছিলেন, বিকেল থেকে তিনি ‘নিখোঁজ’ বলে জানা যায়। এমনকি মামলার নথিতে দেওয়া বাদীর আইনজীবীর ফোন নম্বরও পাওয়া যাচ্ছে ‘সাসপেন্ডেড’ অবস্থায়।

রোববার সকালেই খবর ছড়িয়ে পড়ে—ব্যবসায় অংশীদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও হত্যার হুমকির অভিযোগে গত ১০ নভেম্বর মেহজাবীন ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় এই পরোয়ানা জারি করা হয় বলে জানানো হয়।

এ ঘটনার পর বিকেলেই ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে মামলাটিকে “মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে দাবি করেন মেহজাবীন।
তিনি লেখেন,
“আমি কোনো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে যুক্ত নই। যারা এই মামলা করেছে, তাদের কাউকেই আমি চিনি না। এই সংবাদ আমাকে বিস্মিত করেছে।”

তিনি আরও জানান,
“এ বিষয়ে আমার আইনজীবী ইতোমধ্যে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।”

মামলায় বাদী দাবি করেন—

  • দীর্ঘদিনের পরিচয়ের সুবাদে মেহজাবীন তাকে নতুন পারিবারিক ব্যবসায় পার্টনার হওয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময় নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে মোট ২৭ লাখ টাকা নেন।
  • ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় টাকা চাইতে গেলে কালক্ষেপণ করতে থাকেন তারা।
  • গত ১১ ফেব্রুয়ারি টাকা চাইতে গেলে তাদের পক্ষ থেকে ১৬ মার্চ হাতিরঝিলের একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করতে বলা হয়।
  • সেখানে গেলে মেহজাবীন, তার ভাই এবং ৪–৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি বাদীকে গালিগালাজ করেন এবং বলেন—
    “বাসার সামনে দেখলে মেরে ফেলব।”

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর