[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
৮ কার্তিক ১৪৩২

দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের গুজব, নীরবতা ভেঙে যা করলেন পূর্ণিমা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৫ ৮:০১ পিএম

সংগৃহীত ছবি

জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা আবারও আলোচনায়—তবে এবার চলচ্চিত্র নয়, ব্যক্তিজীবনকে ঘিরে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তার দ্বিতীয় স্বামী আশফাকুর রহমান রবিনের সঙ্গে বিচ্ছেদের গুজব। তবে পূর্ণিমা নিজেই সেই গুজবের জবাব দিয়েছেন নিজের মতো করে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি। ছবিতে দেখা যায়, একটি রেস্তোরাঁয় স্বামীর হাত ধরে হাস্যোজ্জ্বলভাবে বসে আছেন পূর্ণিমা। মাত্র একটি ছবিই যেন অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছে—বিচ্ছেদের খবর পুরোপুরি ভিত্তিহীন, এখনো একসঙ্গেই আছেন তারা।

২০২২ সালে পূর্ণিমা ও রবিনের বিয়ে হয়। পেশায় রবিন একজন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, আর পড়াশোনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এর আগে ২০০৭ সালে পূর্ণিমা বিয়ে করেছিলেন আহমেদ জামাল ফাহাদকে। ২০১৪ সালে তিনি কন্যাসন্তানের মা হন। তবে ২০২২ সালে দ্বিতীয় বিয়ের খবর প্রকাশের পরই জানা যায়—ফাহাদের সঙ্গে তার প্রায় তিন বছর আগেই বিচ্ছেদ হয়েছিল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এক সময় পূর্ণিমার একটি পোস্টও ব্যাপক আলোচিত হয়, যেখানে তিনি লিখেছিলেন—

“মানুষের ভিড়ে কিছু মুখ থাকে, যাদের আমরা আপন ভেবে হৃদয়ের দরজা খুলে দিই। কিন্তু সময়ের কঠিন পরীক্ষায় টের পাই—তারা আসলে সম্পর্কের আবরণে লুকিয়ে থাকা বিষধর সাপ।”

আরও লেখেন,

“এদের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়, কারণ মিথ্যা সম্পর্কের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলার চেয়ে নিঃসঙ্গতা অনেক বেশি শান্ত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ।”

চলচ্চিত্রজগতের সহকর্মীরা মনে করেন, ওই পোস্ট থেকেই গুজবের সূত্রপাত হয়। তবে সর্বশেষ ছবিটি দিয়ে পূর্ণিমা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—রবিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক অটুট।

কাজের সূত্রেই রবিনের সঙ্গে পূর্ণিমার পরিচয় হয়, তিন বছরের বন্ধুত্ব থেকে গড়ে ওঠে ভালোবাসা, এরপর বিয়ে।

উল্লেখ্য, পূর্ণিমার প্রথম বিয়ে হয়েছিল ২০০৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, ব্যবসায়ী মোস্তাক কিবরিয়ার সঙ্গে। সেটিই ছিল তার জীবনের প্রথম বৈবাহিক অধ্যায়।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর