ভবিষ্যৎ মহামারী থেকে দেশকে সুরক্ষিত রাখতে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালগুলোতে বায়োসেইফটি ও বায়োসিকিউরিটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার জোরালো আহ্বান জানানো হয়েছে রাজধানীর আইসিডিডিআরবি’র সাসাকাওয়া অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত বার্ষিক বায়োরিস্ক সম্মেলনে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের শিরোনাম ছিল “এএমআর নিয়ন্ত্রণ, জৈব-বিপজ্জনক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বায়োসেইফটি, বায়োসিকিউরিটি এবং জৈবপ্রযুক্তি”।
সম্মেলনে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ফায়েজ বলেন, “কোভিড-১৯-এর মতো প্রাণঘাতী মহামারী থেকে ভবিষ্যতে সুরক্ষিত থাকতে হলে গবেষণা ও চিকিৎসা খাতে বায়োসেইফটি বিষয়গুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোঃ আতিয়ার রহমান বাংলাদেশ বায়োসেইফটি ও বায়োসিকিউরিটি সোসাইটির (বিবিবিএস) গত ১৫ বছরে জৈব-বিপজ্জনক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কারিকুলামে বায়োসেইফটি ও বায়োসিকিউরিটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইউজিসি চেয়ারম্যানের প্রতি জোরালো দাবি জানান। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এসব নীতিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইসিডিডিআরবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ কলেরা ভ্যাকসিন ও খাবার স্যালাইন উদ্ভাবনে প্রতিষ্ঠানটির ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা স্মরণ করে বলেন, জৈব-বিপজ্জনক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও তার কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি। একই সঙ্গে এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
এছাড়া বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. সাইফুর রহমান জৈব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুল আলম, বাংলাদেশ বায়োসেইফটি ও বায়োসিকিউরিটি সোসাইটির চেয়ারম্যান ড. আসাদুল গনি এবং দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক, গবেষক ও চিকিৎসক।
এসআর
মন্তব্য করুন: