[email protected] সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ঢাকার সাত কলেজ নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ৭:৪৯ পিএম

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে কেন্দ্র করে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো নিয়ে চলমান পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন ব্যাখ্যা প্রদান করেছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়া পরিমার্জনের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে খসড়ার ওপর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আয়োজন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে তারা।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ ব্যাখ্যা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর ওয়েবসাইটে খসড়া অধ্যাদেশ প্রকাশের পর শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও সুধীজনসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে ৫ হাজারের বেশি মতামত পাওয়া গেছে। পাশাপাশি অংশীজনদের নিয়ে তিনটি মতবিনিময় সভা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের মতামত সংগ্রহ প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। আইনগত ও বাস্তব দিক বিবেচনায় এসব মতামত বিশ্লেষণ করে খসড়া পরিমার্জন চলছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, খসড়া চূড়ান্তকরণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যাতে কোনোভাবে বিঘ্নিত না হয়, সেটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সাত কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক প্রতিনিধি, অন্তর্বর্তী প্রশাসন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউজিসির সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা চলছে। ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন-সংক্রান্ত বিষয়ে গত ১১ নভেম্বর একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, অন্তর্বর্তী প্রশাসকের ২৮ জুলাইয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে তিন ইউনিটে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এতে ১০ হাজার ১৯৪ জন ভর্তি হন, যার মধ্যে ৯ হাজার ৩৮৮ জন ভর্তি নিশ্চিত করেন। নতুন শিক্ষাবর্ষ পরিচালনায় একটি অপারেশন ম্যানুয়েলও ইতোমধ্যে অনুমোদিত হয়েছে।

নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর বিষয়ে মাউশি ৪ ডিসেম্বর কলেজ অধ্যক্ষ এবং ৭ ডিসেম্বর শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করে। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, শীতকালীন ছুটি শেষে ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজগুলোর শিক্ষক প্রস্তুতির নির্দেশনাও পেয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সাত কলেজের স্বাতন্ত্র্য রক্ষা, নারী কলেজগুলোর বৈশিষ্ট্য ও সুযোগ অক্ষুণ্ন রাখা, সম্পদের মালিকানা সুরক্ষা, মাধ্যমিক স্তরের কার্যক্রম বিঘ্নিত না হওয়া এবং প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের সম্পর্ক কী হবে—এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনায় রেখেই খসড়া অধ্যাদেশ পরিমার্জিত হচ্ছে। সময়সাপেক্ষ এ প্রক্রিয়ায় সকল পক্ষকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের একটি সুযোগ। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ন্যায্য স্বার্থ রক্ষা করে ইতিবাচক একাডেমিক পরিবেশ গড়ে তোলাই তাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি গুজব, অসম্পূর্ণ তথ্য বা ব্যক্তিগত ব্যাখ্যার ভিত্তিতে বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ও সামগ্রিক শিক্ষা কার্যক্রম যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়—এ ব্যাপারেও সবার দায়িত্বশীল আচরণের অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর