কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) তিন দিনব্যাপী ‘ফুড সিস্টেমস ইয়ুথ লিডারশিপ’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিবিএ ফ্যাকাল্টির কনফারেন্স রুমে কর্মশালার সমাপ্তি ঘটে।
আয়োজকদের তথ্যমতে, কুবির শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের মোট ৩৭ জন প্রশিক্ষণার্থী কর্মশালায় অংশ নেন।
স্কেলিং আপ নিউট্রিশন (সান) ও গ্লোবাল অ্যালাইন্স ফর ইমপ্রুফড নিউট্রিশন (গেইন)-এর উদ্যোগে, ইয়ুথ চেঞ্জ সোসাইটি বাংলাদেশ (YCSBD) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘প্রভাতী’-র সহযোগিতায় এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালার প্রথম দিনে অংশগ্রহণকারীরা নেতৃত্বগুণ বিকাশ, খাদ্য ব্যবস্থার মৌলিক ধারণা ও নিজেদের কমিউনিটির বাস্তবতা বিশ্লেষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ পান।
দ্বিতীয় দিনে খাদ্য ব্যবস্থায় প্রভাব বিস্তারকারী জাতীয়–আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া, নীতিনির্ধারণে তরুণদের ভূমিকা এবং অ্যাডভোকেসি কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।
পাশাপাশি কার্যকর যোগাযোগ ও মানসম্মত উপস্থাপনার কৌশল শেখানো হয়। তৃতীয় দিনে যৌথ ক্যাম্পেইন পরিকল্পনা, সমস্যা বিশ্লেষণ, কৌশল নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন নিয়ে হাতে–কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
তিন দিনব্যাপী কর্মশালা পরিচালনা করেন সান ইয়ুথ নেটওয়ার্কের প্রশিক্ষক মো. রাব্বী, গাজী আশিকুল ইসলাম ও মো. রফিকুল ইসলাম রাকিব।
কর্মশালায় কুমিল্লা জেলার ফুড সেফটি অফিসার মো. জুয়েল মিয়া বলেন, “খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
স্বাস্থ্যবিধি অবহেলার ফলে বায়োলজিক্যাল, ফিজিক্যাল ও কেমিক্যাল—এই তিন ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়। এসব ঝুঁকি এড়াতে খাদ্য প্রস্তুত ও পরিবেশনের প্রতিটি ধাপে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।”
প্রভাতী সংগঠনের আহ্বায়ক ও কর্মশালা পরিচালনা কমিটির সদস্য আহমাদ আব্দুল্লাহ তারেক বলেন, “অংশগ্রহণকারীদের আন্তরিকতা ও সক্রিয় উপস্থিতির মধ্য দিয়ে কর্মশালা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
এসআর
মন্তব্য করুন: