কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবর্তন-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে নবান্ন উৎসব–১৪৩২।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে উৎসবটির আয়োজন করা হয়
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জিল্লুর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. নাসির হোসাইন এবং প্রতিবর্তনের উপদেষ্টা ও সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান। পুরো উৎসবে প্রতিবর্তনের শিল্পীরা নৃত্য, সংগীত ও কবিতা পরিবেশনার মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ করেন।
নবান্ন উৎসব সম্পর্কে প্রতিবর্তনের সাধারণ সম্পাদক তারিন সুমাইয়া বলেন, "নবান্ন উদযাপন আমাদের প্রতিবর্তনের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য।
২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর অগ্রহায়ণ–কার্তিক মাসে নতুন ধান তোলার আনন্দকে কেন্দ্র করে আমরা এ উৎসব আয়োজন করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিমণ্ডলে থেকেও বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতির সঙ্গে একাত্ম থাকতে পারাই আমাদের মূল লক্ষ্য। ধান, কুলা, লোকসংস্কৃতি—এসব উপাদান আমরা নিজেদের প্রচেষ্টায় সাংস্কৃতিকভাবে উপস্থাপন করি।”
এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি মাহমুদুল হাসান হৃদয় বলেন, "প্রতিবর্তনের আয়োজনে নবান্ন উৎসব আয়োজন করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।
নবান্ন শুধু ফসল উৎসব নয়; এটি বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্য, জীবনবোধ ও পরিশ্রমের মূল্যবোধের প্রতিচ্ছবি। মাটির মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে প্রথম ফসল ঘরে তোলার আনন্দই নবান্নের মূল সুর।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলা সংস্কৃতির বিকাশ ও প্রচারে প্রতিবর্তন সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।
আমরা চাই তরুণ প্রজন্ম বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যকে জানুক, উপলব্ধি করুক এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছেও পৌঁছে দিক। তাই নবান্ন উৎসব শুধু বিনোদন নয়, এটি সংস্কৃতিচর্চা, ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং মানুষে মানুষে মিলনের উৎসব।
এসআর
মন্তব্য করুন: