ডিসেম্বরের মধ্যে নবম জাতীয় বেতন কমিশনের প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে— এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশ।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) অর্থ উপদেষ্টার কাছে সংগঠনের মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ পাঠানো এক স্মারকলিপিতে এই হুঁশিয়ারি জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে গঠিত জাতীয় বেতন কমিশন–২০২৫ নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা থাকলেও সুপারিশ চূড়ান্তকরণের শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তার তৈরি হয়েছে, যা ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে।
সংগঠনটি জানায়, বিদ্যমান ২০টি গ্রেড পুনর্গঠনের মাধ্যমে ১০টি ধাপে রূপান্তর করা এবং বেতন কাঠামো ১:৪ অনুপাতে নির্ধারণ করা জরুরি। এতে দীর্ঘদিনের বেতন বৈষম্য দূর হবে বলে তাদের দাবি।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার ব্যয় লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকায় নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বেতন কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন বিলম্বিত হওয়ায় কর্মচারীদের মাঝে তীব্র হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সংগঠনটি তিনটি মূল দাবি উপস্থাপন করেছে—
১. সচিবালয় ভাতা প্রবর্তন
২. নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন
৩. সচিবালয় রেশন ভাতা প্রদান
হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, ডিসেম্বরের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি এবং ১ জানুয়ারির মধ্যে গেজেট প্রকাশ না হলে ১০ জানুয়ারি থেকে কঠোর কর্মসূচিতে নামতে বাধ্য হবে সংগঠনটি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, কর্মচারীদের ক্ষোভ প্রশমনে এবং ন্যায্য দাবি পূরণে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।
এসআর
মন্তব্য করুন: