এসএসসির ফলের ভিত্তিতে নম্বর সমন্বয় করে এবারের ফলাফল তৈরি করা হয়েছে।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আজ মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে। অন্যান্য সময়ে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করতেন।
তবে এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তা করছেন না। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে এবং অনলাইনে বেলা ১১টায় একযোগে ফল প্রকাশিত হবে।
এবার এইচএসসি ও সমমানের কয়েকটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। বাতিল পরীক্ষার নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে এসএসসির ফলের ভিত্তিতে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির প্রধান এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবুল বাশার বলেন, দুই পদ্ধতি অনুসরণ করে বাতিল পরীক্ষাগুলোর ফল তৈরি করা হয়েছে। প্রথমত, এসএসসিতে একটি বিষয়ে শিক্ষার্থী যে নম্বর পেয়েছিল, এইচএসসিতে সেই নামে বিষয় থাকলে তাতে এসএসসির প্রাপ্ত নম্বর পেয়ে যাবে। দ্বিতীয়ত, করোনাকালে ফল তৈরিতে যে সাবজেক্ট ম্যাপিং ছিল, সেটা অনুসরণ করে করা হয়েছে।
সাবজেক্ট ম্যাপিং যেভাবে: কোনো পরীক্ষার্থী এসএসসি ও এইচএসসিতে একই বিভাগের হলে ফল তৈরি হবে এসএসসির ভিত্তিতে। কেউ যদি এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে থাকার পর এইচএসসিতে বাণিজ্য বা মানবিক বিভাগে চলে আসে সেক্ষেত্রে কীভাবে ফল নির্ধারণ করা হবে, তা নিয়ে জানার আগ্রহ বেশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, কেউ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি দিয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে যে নম্বর পেয়েছিল, এইচএসসিতে মানবিক বিভাগে আসায় তার তো বিষয় পরিবর্তন হবে; সেক্ষেত্রে ওই বিষয়ে এসএসসির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের পুরো নম্বরই দেওয়া হবে। এভাবে বিভাগ পরিবর্তন করা পরীক্ষার্থীদের কোন বিষয়ের পরিবর্তে কোন বিষয়কে ধরা হবে, তা নীতিমালায় আছে। নীতিমালা মেনেই বোর্ড ফল প্রস্তুত করেছে।
তপন কুমার সরকার বলেন, বেলা ১১টায় সব বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হবে। ১১ বোর্ডের সমন্বিত ফলের সংক্ষিপ্তসার ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে সাংবাদিকদের দেওয়া হবে।
যেভাবে অনলাইনে ফল পাওয়া যাবে: শিক্ষা বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, এসএমএসের মাধ্যমে ফল পেতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে ইংরেজি অক্ষরে এইচএসসি লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখতে হবে।
এরপর ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল জানতে শিক্ষার্থীকে ফল প্রকাশের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে থাকা ফলাফল অপশনে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সাবমিট করলেই শিক্ষার্থীরা তার পুরো রেজাল্ট শিট দেখতে পাবে।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী—আট দিন পরীক্ষা হওয়ার পর ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার। সূচি অনুযায়ী, মোট ৬ বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ বাকি ছিল।
বিভিন্ন বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) বিভিন্ন বিষয় থাকায় এসব পরীক্ষা স্থগিত এবং পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তা বাতিল করা হয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: