[email protected] মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫
১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও নীতিমালায় বড় পরিবর্তন আসছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ১:০৪ পিএম

সংগৃহীত ছবি

বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য প্রণীত ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২৫’-এ বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে সম্মতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অধিশাখা।

মাউশির পাঠানো সারসংক্ষেপের ভিত্তিতে এ সম্মতি দিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বাস্তবায়নের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ ২০২১ সালে নীতিমালা সংশোধন হয়েছিল। চার বছর পর নতুন নীতিমালায় যুক্ত হয়েছে যোগ্যতা যাচাই, শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রশাসনিক কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী।

অর্থ বিভাগ জানায়, নতুন নীতিমালায় অতিরিক্ত জনবল সৃষ্টি করে সরকারের আর্থিক বোঝা বাড়ানো যাবে না।

সব পদ সৃষ্টি, বেতন-ভাতা ও পদোন্নতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা ও সরকারি ব্যয়সীমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম শিক্ষার্থী উপস্থিতি, শিক্ষার মান এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগে বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

২০১৯ সালের পর নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকেরাও এমপিও সুবিধার আওতায় আসবেন।

উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের ‘জ্যেষ্ঠ প্রভাষক’ পদ বাতিল করা হয়েছে। প্রভাষকরা চাকরির ১০ বছরে গ্রেড ৯ থেকে গ্রেড ৮ এবং ১৬ বছরে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন।

অধ্যক্ষ নিয়োগেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দুই বছরের অভিজ্ঞতা ও ১৩ বছরের শিক্ষকতা যোগ্যতা থাকলেই উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদের জন্য আবেদন করা যাবে।

বিনা অনুমতিতে ৬০ দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক এমপিও সুবিধা হারাবেন, এবং পদটি শূন্য ঘোষণা হবে।

নতুন কাঠামো অনুযায়ী, একাদশ শ্রেণিতে মানবিক ও ব্যবসায় বিভাগে ন্যূনতম ৩৫ এবং বিজ্ঞান বিভাগে ২৫ শিক্ষার্থী থাকতে হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়ায় নীতিমালা এখন চূড়ান্ত এবং এটি থেকেই এমপিওভুক্তির সব সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।


এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর