[email protected] রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

১৫ দিন বন্ধ ঢাবি, হল ত্যাগের নির্দেশে মানতে নারাজ শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২৫ ১২:২৬ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক ভূমিকম্প ও পরবর্তী আফটার

শকের কারণে আগামী ১৫ দিনের জন্য সব একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে রবিবার বিকেল ৫টার মধ্যে সব আবাসিক শিক্ষার্থীকে হল খালি করতে বলা হয়েছে। তবে এই নির্দেশনা মানতে নারাজ অনেকেই।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ— নিরাপত্তার কথা বলা হলেও মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্মিত ‘স্বাধীনতা টাওয়ার’ ভবনটি শিক্ষার্থীদের দখলমুক্ত করা। ভূমিকম্পের পর মুহসিন হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী নিজেদের বিছানা ও জিনিসপত্র নিয়ে সেই ভবনে উঠে যায়, যা নিয়ে প্রশাসন অস্বস্তিতে পড়েছে বলে তাদের দাবি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাস বন্ধের ঘোষণা দেয়।

মুহসিন হলের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাহাত বলেন, ১৫ দিনের বিরতি নিয়ে আপত্তি নেই, তবে আকস্মিক এই সিদ্ধান্তের পেছনে স্বাধীনতা টাওয়ার খালি করার বিষয়টি জড়িত। তার মতে, সময় গড়ালে আতঙ্ক কমে যাবে, আর তখন ভবনের গভীর সংস্কারের বদলে সামান্য পরিদর্শন দেখিয়ে দায়িত্ব শেষ করার চেষ্টা হতে পারে। তিনি পরামর্শ দেন— শিক্ষার্থীদের জন্য কাউন্সেলিং এবং হলগুলোর দীর্ঘমেয়াদি ভূমিকম্প-সহনীয় সংস্কার জরুরি।

আরেক শিক্ষার্থী ফেরদৌস আইমানের অভিযোগ, পলাশীর স্টাফ কোয়ার্টারে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেওয়ায় প্রশাসন ও ছাত্র সংসদের যোগসাজশে হঠাৎ করেই এক দিনের মধ্যে হল ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থী আবির হাসান বলেন, ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া ভর্তি পরীক্ষা, টিউশনি, গবেষণা, ইন্টার্নশিপ ও চাকরি প্রস্তুতির কারণে অনেকেরই ঢাকায় থাকা জরুরি। তিনি প্রশ্ন তোলেন— পরিদর্শনের সময় হলে কিছু শিক্ষার্থী থাকলে সমস্যা কোথায়? ভবনগুলো ১৫ দিনের মধ্যেই পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত হবে— এমন নিশ্চয়তাও নেই। “শেষ পর্যন্ত তো আমাদের এখানেই থাকতে হবে,” মন্তব্য তার।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর