[email protected] রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
২৫ কার্তিক ১৪৩২

শাহবাগে প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১২০

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর ২০২৫ ৭:১৫ পিএম

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।

এতে অন্তত ১২০ জন শিক্ষক আহত হয়েছেন।

শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে আহত শিক্ষকদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক।

তিনি জানান, আহতদের মধ্যে অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন, বাকিদের চিকিৎসা চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ‘কলম বিসর্জন কর্মসূচি’ পালন করতে শাহবাগে অবস্থান নিতে গেলে পুলিশ শিক্ষকদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। এ সময় এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং শিক্ষকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আশ্রয় নেন।

এর আগে দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শেষে তিন দফা দাবিতে শাহবাগ অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছিলেন শিক্ষকরা। তাদের দাবিগুলো হলো—
১️⃣ সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ,
২️⃣ ১০ ও ১৬ বছর চাকরি পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সংক্রান্ত জটিলতার স্থায়ী সমাধান,
৩️⃣ শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা প্রদান।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার। গত ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম ও ১৩তম থেকে ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। তবে এতে সহকারী শিক্ষকরা বঞ্চিত হওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

অন্যদিকে, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের আরেক সংগঠন ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতির দাবিতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে।

তাদের দাবি না মানলে তারা ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনসহ ১১ ডিসেম্বরের পর থেকে পরীক্ষা বর্জন ও আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর