জকসু নির্বাচনকে ঘিরে ছাত্রদলের ১২ দফা দাবি

আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে শাখা ছাত্রদল ১২ দফা দাবি উপস্থাপন করেছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসানের কাছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, “আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, নির্বাচনের সময় বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি ও নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য দায়বদ্ধ।”

ছাত্রদলের ১২ দফা দাবি হলো—

1. ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় ছবিসহ তালিকা প্রদান করতে হবে।
2. নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে।
3. স্বচ্ছ গ্লাসের ব্যালট বাক্স রাখতে হবে এবং প্রতিটি বাক্সে আলাদা নম্বর থাকবে।
4. ব্যালট ছাপানোর সংখ্যা, কাস্টিং ভোটার ও নষ্ট ব্যালটের সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে।
5. মিডিয়া ট্রায়ালে (ভুল তথ্য উপস্থাপন হলে) সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে; সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে স্বাধীন ও অবাধ সংবাদ পরিবেশনের সুযোগ দিতে হবে।
6. কোনো পোলিং এজেন্ট নিজ কেন্দ্র থেকে বের হতে পারবে না ও অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। প্রার্থীর অনুমতি ছাড়া কোনো এজেন্ট পরিবর্তন করা যাবে না।
7. ডাকসু, চাকসু, রাকসু ও জাকসুর নির্বাচনসূচির সঙ্গে তুলনা করে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সুবিধা বিবেচনা করে যথাযথ সময় নির্ধারণ করতে হবে।
8. আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন হলে নির্বাচনী প্রচারণার আচরণবিধি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে। ফাউন্ডেশনের বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান ও চুক্তি বিস্তারিত জানাতে হবে।
9. দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারে; তাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল শিক্ষার্থীদেরও অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
10. আচরণবিধির ৬ নম্বর ধারার আলোকে সকল ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের কমিটির সদস্যদের জন্য বিশেষ কার্ড প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে, যা নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে কার্যকর হবে।
11. নির্বাচনী প্রচার ও অংশগ্রহণে রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কার্যকরী কমিটির সদস্যদেরও সুযোগ দিতে হবে।
12. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ঘোষিত ধারাবাহিক কার্যক্রম চলমান রাখার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, “নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের অনুরোধ, একটি গণতান্ত্রিক ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হোক। আমরা কমিশনের কাছে সন্তোষজনকভাবে আবেদন উপস্থাপন করছি; এর ব্যতিক্রম হলে কোনো গোষ্ঠীর চাপের শিকার হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।”