মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ১০ সদস্যের পরামর্শক কমিটি গঠন

মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে পরামর্শক কমিটি গঠন মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নত করার লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১০ সদস্যের একটি পরামর্শক কমিটি গঠন করেছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমদের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটি তিন মাসের মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষার মান বৃদ্ধি, কাঠামোগত সংস্কার এবং শিক্ষণ-পদ্ধতির গুণগত উৎকর্ষ বিষয়ে সুপারিশ পেশ করবে।

মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ১০ সদস্যের পরামর্শক কমিটি

মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও কাঠামোগত সংস্কারের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১০ সদস্যের একটি পরামর্শক কমিটি গঠন করেছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমদের নেতৃত্বে এই কমিটি তিন মাসের মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও শিক্ষণ-পদ্ধতির উৎকর্ষ বিষয়ে সুপারিশ জমা দেবে।

মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে ২১ অক্টোবর জারি করা এক অফিস আদেশে এই কমিটি গঠনের বিষয়টি জানানো হয়। তবে এটি এখনো কোনো সরকারি বিজ্ঞপ্তি বা ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ মোর্শেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. বেলায়েত হোসেন তালুকদার, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান শাহীদা ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক), মাউশির ঢাকা অঞ্চলের উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সাংবাদিক মো. মুসা মিয়া, শেরেবাংলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুর রহমান এবং আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এ কে এম মোস্তফা কামাল।

কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (সরকারি মাধ্যমিক অধিশাখা)।

আদেশে বলা হয়েছে, কমিটিকে মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার, এবং শেখন-শেখানোর গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য বাস্তবসম্মত প্রস্তাবনা দিতে হবে।

এর আগে গত বছর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও অধ্যাপক মনজুর আহমদের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি পরামর্শক কমিটি গঠন করেছিল প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে। ওই কমিটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সরকারের কাছে শতাধিক সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেয়, যার মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনগ্রেড উন্নয়ন ও নতুন পদবি সংযোজনের প্রস্তাবও ছিল। তবে কমিটির সদস্যদের অভিযোগ, বেশিরভাগ প্রস্তাব এখনো আংশিকভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।