[email protected] শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
১৬ কার্তিক ১৪৩২

জকসু নির্বাচন: প্রার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট, খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ৩:১৬ এএম

সংগৃহীত ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

মাদকাসক্ত প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল বলে গণ্য হবে।

বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত খসড়া আচরণবিধিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক প্রার্থীর মাদকাসক্তির বিষয়টি পরীক্ষা করবে কমিশন। টেস্টে অনুপস্থিত থাকলেও প্রার্থীতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে।

আচরণবিধিতে আরও বলা হয়েছে—

  • ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত, শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত বা যৌন অপরাধে জড়িত কোনো শিক্ষার্থী নির্বাচনে ভোটাধিকার ও প্রার্থীতা হারাবেন।
  • শাস্তির মেয়াদ শেষে নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে মর্যাদা ফিরে পেলে ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার অধিকার পুনরায় ফিরে পাবেন।

প্রচারণা সংক্রান্ত বিধানে বলা হয়েছে—

  • প্রার্থীকে নিজের বিভাগ, হল, শিক্ষাবর্ষ, এবং একাডেমিক বা সহশিক্ষা কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণী প্রকাশ করতে হবে।
  • শ্রেণিকক্ষ, পরীক্ষা চলাকালীন সময় বা ক্যাম্পাসে সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ থাকবে।
  • কমিশনের অনুমতি ছাড়া ২৫ জনের বেশি শিক্ষার্থীর একত্র হওয়া যাবে না, এবং কোনো বহিরাগত ব্যক্তি নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।
  • শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী কিংবা উইকেন্ড/প্রফেশনাল কোর্সের শিক্ষার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে বা প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না।

প্রচারসামগ্রী বিষয়ে বলা হয়েছে—

  • প্রচারণা কেবল হ্যান্ডবিল বা প্রচারপত্রে সীমিত থাকবে।
  • প্রার্থীরা নিজের ছবি ছাড়া অন্য কারও ছবি ব্যবহার করতে পারবেন না।
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।

এছাড়া নির্বাচনী প্রচারণায় যানবাহন ব্যবহার, ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রচারণা, কিংবা খাবার-উপঢৌকন বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে সব ধরনের প্রচারণা শেষ করতে হবে।
কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কেউ সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করতে পারবেন না; তবে কমিশনের অনুমতিতে হ্যান্ডমাইক ব্যবহার করা যাবে।

উল্লেখ্য, এর আগে জকসু নির্বাচন পরিচালনায় পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. শহিদুল ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কানিজ ফাতেমা কাকলি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জুলফিকার মাহমুদ ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর