এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সর্বনিম্ন মূল বেতন ৩০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট’।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে সচিবালয়ে পে-কমিশনের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সংগঠনটির প্রতিনিধিদল এ প্রস্তাব তুলে ধরে।
সভায় জোটের নেতারা বলেন, শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের বেতন বৈষম্য দূর করে সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে সমান মর্যাদা নিশ্চিত করাই তাদের এই প্রস্তাবের মূল লক্ষ্য।
প্রস্তাবিত বেতন কাঠামোয় গ্রেডভিত্তিক বেতনের হার নিম্নরূপ—
সভায় জোটের পক্ষ থেকে পে-কমিশনের কাছে মোট ১০ দফা প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
১. এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রারম্ভিক বেতন নবম গ্রেডে নির্ধারণ করা।
২. সরকারি চাকরিজীবীদের মতো মূল বেতনের ৪০-৭০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা দেওয়া।
৩. উৎসব ভাতা ও বৈশাখী ভাতা মূল বেতনের সমপরিমাণ নির্ধারণ।
৪. এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করা।
৫. বিএড আইন বাতিল ও কমিটি প্রথা বিলুপ্ত করা।
৬. অবসর ফান্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা অবসরের ছয় মাসের মধ্যে প্রদান করা।
৭. শিক্ষক-কর্মচারীদের রেশন সুবিধার আওতায় আনা।
৮. শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা চালু করা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ মাইন উদ্দীন, অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী, মো. মতিউর রহমান, মো. হাবিবুল্লাহ রাজু, মো. শান্ত ইসলাম, অধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন, মোহাম্মদ নুরুল আমিন হেলালী, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. তোফায়েল সরকার, মো. রবিউল ইসলাম, মো. রাসেল মণ্ডল ও মো. মাহবুব আলম।
জোটের নেতারা আশা প্রকাশ করেন, সরকার ও পে-কমিশন তাদের প্রস্তাবগুলো ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করে শিক্ষকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: