[email protected] শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
১৫ কার্তিক ১৪৩২

‘ছেলেকে পাঠিয়েছিলাম ডিগ্রি নিতে, মৃত্যুর ডিগ্রি নিয়ে ফিরেছে’ : জোবায়েদের বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ৭:৫২ পিএম

সংগৃহীত ছবি

‘আমি ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিলাম ডিগ্রি নিতে, কিন্তু সে এখন মৃত্যুর ডিগ্রি নিয়ে ফিরেছে।

কিন্তু সে এখন মৃত্যুর ডিগ্রি নিয়ে ফিরেছে।’— কথাগুলো বলছিলেন নৃশংসভাবে নিহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেনের বাবা মোবারক হোসেন।

রোববার (২৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের মাঠে নিহত শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেন ও ছাত্রদল নেতা হাসিবুল ইসলাম সাম্যর স্মরণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

আবেগাপ্লুত কণ্ঠে মোবারক হোসেন বলেন,

“একটাই দাবি, আমার ছেলের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার হোক। আমি ন্যায়বিচার চাই, এর বাইরে আমার আর কোনো চাওয়া নেই।”

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দিন,
এছাড়া ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল ও সদস্য সচিব শামসুল আরেফিনসহ বর্তমান ও সাবেক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন,

“আমরা স্বীকার করি—সব কর্মী নিখুঁত নয়। কিন্তু সাম্য ও জোবায়েদের মতো সৎ, নৈতিক চরিত্রের নেতাদের হারানো আমাদের আন্দোলনের বড় ক্ষতি। আমরা তাদের আদর্শেই এগিয়ে যাব।”

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির বলেন,

“জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ১৪২ জন শহীদ হয়েছেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সাম্য ও জোবায়েদের মতো নেতাদের ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। প্রশাসনের গড়িমসির কারণেই এসব ঘটছে।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন,

“এমন জীবন তুমি করিবে গঠন, মরণে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন—এই লাইনটি আজ খুব প্রাসঙ্গিক। সন্তানদের মৃত্যুতে শিক্ষক সমাজও শোকাহত। আমরা এমন কষ্ট আর দেখতে চাই না।”

সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন,

“হাসিব দেশের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছে। তার স্বপ্ন পূরণে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি জোবায়েদের হত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা আর না ঘটে।”

তিনি আরও জানান,

“আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের আইনি সহায়তা দিচ্ছি। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আজই একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।”

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর