এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাতা বাড়ানোর দাবিকে যথেষ্ট যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন
পোস্টে উপ প্রেস সচিব লেখেন,
এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছেন তাদের এই দাবি অনেকটাই ন্যায্য আমি গ্রামে বড় হয়েছি গ্রামের স্কুলে পড়েছি শিক্ষকদের কষ্ট নিজের চোখে দেখেছি তাদের দাবি পূরণ করা গেলে সেটা সবার জন্যই আনন্দের হবে তবে দাবি আদায়ের নামে যদি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় সেটা হবে দুঃখজনক
তিনি আরও জানান সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে শিক্ষকদের দাবিগুলো বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সরকার ধাপে ধাপে বাড়িভাতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিচ্ছে
বর্তমানে পাঁচ শতাংশ বাড়ি ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে আগামী বাজেটের আগে আরও পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা চলছে তবে অনেক শিক্ষক এখনই পূর্ণ দাবিগুলো মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন এটি কতটা বাস্তবসম্মত তা বিবেচনার দাবি রাখে
উপ প্রেস সচিব আরও জানান সরকার পাঁচ শতাংশ বাড়ি ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব দিলেও ন্যূনতম বৃদ্ধির পরিমাণ ধরা হয়েছে দুই হাজার টাকা
এতে যাদের বেতন স্কেল বিশ হাজার টাকার কম তাদের ভাতা কার্যত দশ শতাংশ বাড়বে অধিকাংশ শিক্ষকের মূল বেতন বিশ হাজার টাকার নিচে হওয়ায় তাদের বড় অংশের দাবি এই সিদ্ধান্তেই পূরণ হচ্ছে
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সব শর্ত পূরণ করেছে তাদের ন্যায্য দাবি সরকার অবশ্যই বিবেচনা করবে কিন্তু প্রশ্ন হলো এমপিওভুক্ত হয়েছে কারা বহু প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক বিবেচনা ও তদবিরের মাধ্যমে এমপিও পেয়েছে যেখানে ছাত্র শিক্ষক বা অবকাঠামো কিছুই ছিল না
তিনি আরও উল্লেখ করেন সম্প্রতি প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দুই শতাধিক কলেজে কেউ পাস করেনি এসএসসিতেও একই চিত্র শিক্ষার এই অবস্থায় এমন প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষকদের বাড়তি সরকারি অর্থ সহায়তা দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে
তদন্তের আহ্বান-তার মতে এখন সময় এসেছে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা যাচাই ও তদন্ত করার সরকারের নির্ধারিত ক্রাইটেরিয়া মানা হয়নি ফলাফলের অবস্থা করুণ এমন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কেন বাড়তি সুযোগ সুবিধা পাবেন তা নতুন করে ভেবে দেখা প্রয়োজন
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন সরকারের আর্থিক বাস্তবতা অনুযায়ী পাঁচ শতাংশ ন্যূনতম দুই হাজার টাকা বাড়িভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে
তিনি বলেন আমি শুরু থেকেই শিক্ষকদের বেতন প্রশিক্ষণ ও মর্যাদা বৃদ্ধির পক্ষে মন্ত্রিসভার সহকর্মীরাও এতে সহানুভূতিশীল নতুন বেতন কমিশনের সুপারিশে আগামী বছর আরও সম্মানজনক কাঠামো তৈরি হবে বলে আশা করি
শিক্ষা উপদেষ্টা আরও যোগ করেন শতাংশভিত্তিক বাড়িভাতা বিষয়ে সরকার শিক্ষকদের দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সংবেদনশীল
এসআর
মন্তব্য করুন: