[email protected] শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
৩ কার্তিক ১৪৩২

৯২০ জিপিএ-৫

ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের গৌরবোজ্জ্বল ফল

সাইদুর রহমান

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১০:২০ পিএম

সংগৃহীত ছবি

তোরা সব জয়ধ্বনি কর, ঐ নূতনের কেতন ওড়ে”—এই জয়গানে মুখর আজ ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ।

২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর থেকে কলেজজুড়ে বইছে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের বন্যা। পরিকল্পনা, অধ্যবসায় ও নিষ্ঠার সমন্বয়ে কলেজটি আবারও প্রমাণ করেছে—সাফল্যই তাদের স্বভাব।

চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি থেকে অংশ নেয় ৩,১৮৩ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৯২০ জন কৃতী শিক্ষার্থী জিপিএ–৫ অর্জন করেছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৭৭৭ জন, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১০৭ জন এবং মানবিক বিভাগে ৩৬ জন। মোট পাসের হার ৯৯.৬৫ শতাংশ, আর জিপিএ–৫ প্রাপ্তির হার ২৮.৮৩ শতাংশ—যা প্রতিষ্ঠানটির ধারাবাহিক সাফল্যের আরেক উজ্জ্বল সংযোজন।

এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, শিক্ষানুরাগী ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা, সম্মানিত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ এবং পরিচালনা পর্ষদের সুনিপুণ দিকনির্দেশনা। তাঁদের নেতৃত্বে একঝাঁক নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মেধা ও শ্রমকে সাফল্যে রূপ দিয়েছেন।

অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ বলেন,

“শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ব্যাপারে আমরা আপসহীন। নিয়মিত পাঠদান, কঠোর তদারকি, শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও শিক্ষার্থীদের অধ্যবসায়ই আমাদের এই সাফল্যের চাবিকাঠি। সকল কৃতি শিক্ষার্থীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।”

সাফল্যের এই গল্পে রয়েছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা। জিপিএ–৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী জারিন তাসনিম বলেন,

“নিজের প্রচেষ্টার পাশাপাশি বাবা–মায়ের পরিকল্পনা ও শিক্ষকদের নিবিড় দিকনির্দেশনাই আমাকে এখানে এনেছে। ডিএমআরসি পরিবারই আমার সাফল্যের ভিত্তি।”

আরেক শিক্ষার্থী আদনান মাহমুদ বলেন,

“পরিবারের মুখে আনন্দের হাসি ফোটাতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ সৃষ্টিকর্তার কাছে। কলেজের শিক্ষকদের নিয়মিত সহযোগিতা ও প্রেরণাই ছিল আমার শক্তি।”

একজন অভিভাবক ইফতেখার আহমেদ জানান,

“কলেজের কঠোর নিয়ম–কানুন ও শিক্ষক–অভিভাবক যোগাযোগ আমার সন্তানের সাফল্যে বড় ভূমিকা রেখেছে। শিক্ষকরা যেন অভিভাবকের মতো যত্ন নিয়েছেন।”

প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা আবেগভরে বলেন,

“২০১০ সালে এলাকার সচেতন মানুষদের দাবিতে আধুনিক শিক্ষার আদর্শ নিয়ে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করি। আজ তা একটি স্বপ্নপূরণের প্রতীক। আমাদের এই সন্তানেরা আগামী বাংলাদেশের সম্পদ। তাদের জন্য দোয়া কামনা করছি।”

এইচএসসি পরীক্ষার অনবদ্য ফলাফলে কলেজ প্রাঙ্গণ এখন উৎসবের আমেজে ভরপুর। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে বইছে গৌরব ও আনন্দের ধারা। প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলনমেলাও যেন এক আনন্দমুখর উৎসবে পরিণত হয়েছে—যেখানে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে একটাই সুর,
“সাফল্য আমাদের ঐতিহ্য, শ্রেষ্ঠত্ব আমাদের অঙ্গীকার। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর