অর্জন আমাদের অভ্যাস, শ্রেষ্ঠত্ব আমাদের ঐতিহ্য’- এই মূলমন্ত্রের প্রতিফলন ঘটিয়ে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অসাধারণ
এবারের পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটির পাসের হার ৯৯.৯১%, আর ৪২৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ–৫ অর্জন করেছে।
রাজধানীর অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাত এই কলেজের সাফল্যকে শিক্ষাবিদরা দেশের শিক্ষা খাতে এক “অনুকরণীয় অর্জন” হিসেবে দেখছেন।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন,
“এটি শুধু একটি পরীক্ষার ফলাফল নয়, বরং শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রতিফলন। আমরা শুধু ভালো ফল নয়, শিক্ষার্থীদের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিই—যারা জ্ঞান, শৃঙ্খলা ও নৈতিকতায় দেশকে এগিয়ে নেবে।” সাফল্যের পেছনের রহস্য
এই অসাধারণ অর্জনের পেছনে রয়েছে প্রতিদিনের একাডেমিক ফলো–আপ, নিয়মিত মডেল টেস্ট, শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ এবং আধুনিক শিক্ষণ–পদ্ধতির ব্যবহার। শিক্ষকদের নিবেদিত মনোযোগ, অভিভাবকদের সহযোগিতা ও শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রমই এই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
একজন অভিভাবক বলেন,
“এখানে শুধু বইয়ের শিক্ষা নয়, সন্তানদের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দীক্ষা দেওয়া হয়—যেটিই এই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
২০০৭ সালে এইচএসসিতে ঢাকা বোর্ডে প্রথম স্থান অর্জন এবং ২০১৫ সালে এসএসসিতে বোর্ডে শীর্ষে অবস্থান—এই দুই অর্জন সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজকে এনে দিয়েছে এক বিশেষ মর্যাদা।
এছাড়া জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে ২০১৭ সাল থেকে টানা পাঁচবার জাতীয়ভাবে শ্রেষ্ঠ স্কাউট গ্রুপ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার গৌরবও রয়েছে প্রতিষ্ঠানের ঝুলিতে।
যেখানে সারাদেশে এইচএসসিতে গড় পাসের হার ৫৮.৮৩%, সেখানে ৯৯.৯১% পাসের হার ধরে রেখে প্রতিষ্ঠানটি গুণগত শিক্ষার এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি, অতিরিক্ত সচিব (অব.) ও গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল মাননান উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ আবারও প্রমাণ করেছে—সাফল্য তাদের জন্য, যাদের প্রচেষ্টা অবিচল, মনোযোগ অবিচল, আর লক্ষ্য স্বপ্নের চেয়েও বড়।
এই অর্জন আগামী প্রজন্মের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য হয়ে থাকবে এক অনন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক।
এসআর
মন্তব্য করুন: