নানা আলোচনা ও বিতর্কের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।
বিতর্কের মধ্যেই অপসারণ
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক নজিরবিহীন পদক্ষেপকে ঘিরে আলোচনার ঝড় ওঠে।
মহাপরিচালক হিসেবে অধ্যাপক আজাদ খান দায়িত্বে থাকা অবস্থায়ই একই পদে নতুন আবেদন আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়।
এই ঘটনায় শিক্ষা প্রশাসনের ভেতরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই বিষয়টিকে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার জন্য ‘অপমানজনক ও অস্বাভাবিক’ বলে মন্তব্য করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই অধ্যাপক আজাদ খান স্বাস্থ্যগত কারণ উল্লেখ করে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন, যা কার্যত পদত্যাগ হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, তিনি গত ৭ অক্টোবর তার অব্যাহতির আবেদনপত্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেন।
স্বল্প সময়ের দায়িত্বে নানা উদ্যোগ
অধ্যাপক আজাদ খান চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মাউশির মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তার মেয়াদকালে তিনি ইএফটি তথ্য সংশোধন, শিক্ষক বদলি প্রক্রিয়া এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নানা জটিলতা নিরসনে কিছু পদক্ষেপ নেন।
তবে মাউশির অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন মহলের অসহযোগিতা ও প্রশাসনিক অচলাবস্থার কারণে তার উদ্যোগগুলো কাঙ্ক্ষিত গতিতে এগোয়নি বলে জানা গেছে।
দুটি নতুন অধিদপ্তর গঠনের সিদ্ধান্ত
অধ্যাপক আজাদ খানের বিদায়ের পরই অন্তর্বর্তী সরকার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে দুটি পৃথক সংস্থায় ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নতুন দুইটি অধিদপ্তরের নাম হবে—
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই পুনর্গঠন মূলত শিক্ষা প্রশাসনে দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।নতুন নিয়োগ আপাতত স্থগিত
মাউশির কাঠামোগত পরিবর্তন প্রক্রিয়া চলমান থাকায় বর্তমানে নতুন মহাপরিচালক নিয়োগ স্থগিত রাখা হয়েছে।
পুনর্গঠন সম্পন্ন হওয়ার পর দুটি পৃথক অধিদপ্তরের জন্য
দুইজন মহাপরিচালক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
তবে এর মধ্যে মাউশির চলমান কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে, সে বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা এখনো জারি হয়নি।
এসআর
মন্তব্য করুন: