[email protected] রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
২৬ আশ্বিন ১৪৩২

কুবিতে চাঁদপুর স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নবীন বরণ

কুবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২৫ ৮:২০ পিএম

সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) চাঁদপুর জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের আঞ্চলিক সংগঠন চাঁদপুর স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন-এর নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স রুমে আয়োজন করা হয় এই অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাহিদা বেগম, আইসিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, চাঁদপুর ইউনিএইটের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মোহাম্মদ হাফিজ আল-আসাদ বাবর এবং চাঁদপুর থেকে আগত বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিথিলা রহমান সুখী এবং ফার্মেসি বিভাগের ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিয়ান আহমেদ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন। পবিত্র কোরআন ও গীতা পাঠের মাধ্যমে সূচনা হয় অনুষ্ঠানের। এরপর অতিথি ও নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ এবং প্রবীণ শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে বিদায় জানানো হয়।

অনুভূতি প্রকাশ করে বাংলা বিভাগের ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইয়াসীন আরফাত বলেন,

“ধন্যবাদ জানাই যারা আমাদের এই সুন্দর অনুষ্ঠান উপহার দিয়েছেন। এতে আমরা চাঁদপুরের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হতে এবং একে অপরকে জানার সুযোগ পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় শুধু ক্যারিয়ার ও ডিগ্রির জায়গা নয়, এটি নিজেকে গড়ে তোলার এবং স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার ক্ষেত্র।”

বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাহিদা বেগম বলেন,

“যখন নবীনরা বলছিল ‘আমি চাঁদপুরের ওই জায়গা থেকে এসেছি’, তখন আমার মনে হতাশা জেগেছিল, কারণ আমি এমন জায়গা থেকে এসেছি যার মাও নেই, বাবাও নেই—নদীভাঙা সেই এলাকা থেকে আজকের পর্যায়ে পৌঁছেছি। আমাদের ঘাটতি অনেক, কিন্তু এই ঘাটতি পেরিয়ে আমরা কোথায় যেতে চাই, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয় মানুষকে ধীরে ধীরে গড়ে তোলে—এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষক ও সংগঠন উভয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

আইসিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান বলেন,

“নতুন কিংবা পুরোনো—সব শিক্ষার্থীর জন্যই এসোসিয়েশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শিক্ষার্থীরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়, আর এসোসিয়েশন সেই পরিবারের ভূমিকা পালন করে। এটি শিক্ষার্থীদের পরামর্শ, সহায়তা ও সংযোগের অন্যতম কেন্দ্র।”

সংগঠনের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ বলেন,

“ব্যস্ততার মধ্যেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আমাদের উৎসবকে সফল করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। ২০১২ সাল থেকে সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে আসছে এবং নানা সময়ে বিভিন্ন আয়োজন করেছে। শিক্ষক ও অতিথিদের পরামর্শ আমরা গুরুত্বের সঙ্গে অনুসরণ করব।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর