ঢাকা সেন্ট্রাল (ঢাকেবি) ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া শিক্ষা ক্যাডারের বিদ্যমান বৈষম্যকে আরও গভীর করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সমিতির নেতারা।
তাদের মতে, প্রস্তাবিত অধ্যাদেশ বাস্তবায়িত হলে দেশের ঐতিহ্যবাহী সরকারি সাত কলেজে উচ্চশিক্ষা ও নারী শিক্ষার পরিসর সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টায় রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) অডিটোরিয়ামে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ‘সরকারি সাত কলেজ ও শিক্ষা ক্যাডারের স্বার্থ সংরক্ষণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার পরিচালক এবং বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সমিতির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল। তিনি বলেন, “শিক্ষা ক্যাডারের বৈষম্য দূর করা না গেলে শিক্ষকতা পেশার দীপ্তি বাড়ানো সম্ভব নয়। শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা রক্ষায় নিয়মিত পদোন্নতি, পদসৃজন ও পদোন্নয়ন কাঠামোর আপগ্রেডেশন এখন সময়ের দাবি।”
সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিক্ষা ক্যাডার সমিতির সদস্য সচিব ড. মো. মাসুদ রানা খান। তিনি বলেন, “শিক্ষকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক স্বীকৃতি না বাড়ালে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ হারাবেন। বিদ্যমান বৈষম্য দূর না হলে শিক্ষা ব্যবস্থার মান ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
নেতারা আরও বলেন, সরকারি কলেজের শিক্ষকরা শিক্ষা ব্যবস্থার প্রাণভোমরা হলেও তারা এখনো পদোন্নতি ও গ্রেডের দিক থেকে বঞ্চিত। বর্তমানে সরকারি কলেজের অধ্যাপকের সর্বোচ্চ গ্রেড ৪র্থ হলেও অন্যান্য ক্যাডারে তা আরও উন্নত অবস্থানে রয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকার সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দ, শিক্ষা ক্যাডার সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর নাসরীন বেগমসহ বিভিন্ন জেলা ও ইউনিট কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকরা।
এসআর
মন্তব্য করুন: