বিধিবহির্ভূত শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের কারণে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
গত ১৭ বছরে অযৌক্তিক নিয়োগের ফলে প্রতিষ্ঠানে দ্বিগুণ শিক্ষক কর্মরত থাকলেও শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২১৪৩ জনে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মরিয়ম বেগম এসব তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর আত্মীয় ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান হাওলাদার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ নিয়োগ দেন এবং এখনো প্রতিষ্ঠানকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বাবদ মাসিক ব্যয় প্রায় ২৬ লাখ টাকা, সাথে অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ব্যয় দাঁড়ায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
অথচ মাসিক একাডেমিক ফি থেকে আদায় হয় মাত্র ১৬ লাখ টাকা। ফলে বছরে কয়েক কোটি টাকার ঘাটতি তৈরি হচ্ছে, যা বেতন বকেয়া থাকার মূল কারণ। বর্তমানে ১৩ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে।
অধ্যক্ষ মরিয়ম বেগম জানান, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে প্রতিষ্ঠানের তিনটি ভবনের আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হলে সরকার থেকে পাওয়া প্রায় ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা দিয়ে বকেয়া বেতন, ভবন সংস্কার ও জেনারেটর ক্রয় করা হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, মনিরুজ্জামান হাওলাদার ও তাঁর অনুসারীরা অপপ্রচার চালিয়ে শিক্ষা পরিবেশ নষ্ট করছেন। তবে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগকে তিনি “মিথ্যা ও ভিত্তিহীন” বলে দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে গভর্নিং বডির সভাপতি রমিজ উদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: