কুমিল্লায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তাঁর মা তাহমিনা বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঢাকা পালিয়ে যাওয়ার পথে সোমবার দুর্গাপুর থেকে মোবারককে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মোবারক দেবিদ্বার উপজেলার কাবিরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, নিহত সুমাইয়া আফরিন কথিত ‘জ্বীনের সমস্যা’তে ভুগছিলেন। এজন্য তাঁর মা তাহমিনা বেগম মাঝে মাঝে মেয়েকে নিয়ে স্থানীয় এক হুজুরের কাছে ঝাড়ফুঁক করাতেন। এ সূত্রে মোবারকের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁদের। এরপর নিয়মিতই তিনি তাঁদের বাসায় যাতায়াত করতেন।
ঘটনার দিন (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে মোবারক দুটি ব্যাগ নিয়ে তাঁদের বাসায় যান। ঝাড়ফুঁকের নাম করে একপর্যায়ে সুমাইয়াকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
তখন মা তাহমিনা বিষয়টি দেখে ফেলেন। বাধা দেওয়ায় প্রথমে তাঁকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন মোবারক। পরে আবারও সুমাইয়ার কক্ষে প্রবেশ করে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
এ সময় বাসা থেকে চারটি মোবাইল, একটি ল্যাপটপসহ কিছু মালামাল চুরি করে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। পরে তাঁর বাসা থেকে কমলা রঙের সেই ব্যাগটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার বলেন, “ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে আপাতত এর বাইরে কিছু জানানো সম্ভব নয়।”
উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে কুমিল্লা শহরের কালিয়াজুরীর ভাড়া বাসা থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এসআর
মন্তব্য করুন: