কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিন বেগম হত্যার ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
পরে তারা কুমিল্লা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন—
“তুমি কে? আমি কে? সুমাইয়া, সুমাইয়া”,
“আমার বোন কবরে, খুনি কেন বাইরে”,
“জবাব চাই— প্রশাসনের জবাব চাই”,
“বিচার চাই— সুমাইয়া হত্যার বিচার চাই।”
শিক্ষার্থীদের দাবি, সুমাইয়া আফরিন ও তার মায়ের হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হয়েছে। তারা দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানান।
লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মুনিয়া আফরোজ বলেন, “আমরা আমাদের সহপাঠীকে হারিয়েছি।
এই কষ্ট ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমাদের দুটি দাবি— ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি (মৃত্যুদণ্ড) নিশ্চিত করতে হবে।”
অন্য সহপাঠী মেহেদী হাসান বলেন, “সুমাইয়া ও তার মাকে ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা চাই, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক।”
এ বিষয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরী বলেন, “শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করলে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।
এ ঘটনাকে পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
উল্লেখ্য, রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরীতে নিজ বাসা থেকে সুমাইয়া আফরিন ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: