সরকারি ও বেসরকারি সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ছুটি কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
তবে সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটি বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ছুটি ৭৬ দিন এবং কলেজে ৭১ দিন নির্ধারিত রয়েছে। তবে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ছুটি কমানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। সংশ্লিষ্টদের মতে, বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শেখার ঘাটতি তৈরি হয়। এই ঘাটতি পূরণের অংশ হিসেবেই বার্ষিক ছুটি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন,
“শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কত সময় শ্রেণিকক্ষে কাটাচ্ছেন, সেটিই আমাদের প্রধান বিবেচ্য বিষয়। বর্তমানে বছরে মাত্র ১৮০ দিন ক্লাস হয়। অপ্রয়োজনীয় ছুটি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।”
তিনি আরও জানান, শিক্ষকদের শিক্ষাবহির্ভূত কাজে না লাগানোর পদক্ষেপও নেওয়া হবে।
এর আগে গত মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ বৈঠকেও বার্ষিক ছুটি কমানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। সেই সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-১) বেগম বদরুন নাহার। বৈঠকে ডিপিই ও মাউশির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: