ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকছে না।
চেম্বার জজ আদালত সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী শিশির মনির জানান, বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় তারা চেম্বার জজ আদালতে হাতে লিখিত আবেদন করেন। আবেদন গ্রহণ করে আদালত হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া স্থগিতাদেশের কার্যকারিতা আপাতত স্থগিত রাখেন। ফলে ডাকসু নির্বাচন আয়োজন, পরিচালনা ও প্রার্থীদের প্রচারণার ক্ষেত্রে কোনো আইনি বাধা থাকছে না।
তিনি আরও বলেন, “আমরা আগামীকাল সকালে সিএমপি দায়ের করব। আশা করছি, দ্রুতই পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে। এর আগ পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে।”
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবী জানান, এসএম ফরহাদের বিষয়ে হাইকোর্ট কোনো স্থগিতাদেশ দেননি, বরং রুল জারি করেছেন। চেম্বার জজ আদালতে পূর্ণাঙ্গ শুনানির পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
এর আগে বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ডাকসু নির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন।
ডাকসু নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। এবারের নির্বাচনে ডাকসুর মোট ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী আছেন ৬২ জন। সদস্যপদে সর্বাধিক ২১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পাশাপাশি ১৮টি হলে মোট ১৩টি পদে চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী।
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী—
প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া ১০ জন প্রার্থী আপিল না করায় তাদের মনোনয়ন বাতিল হয়। এছাড়া ২৮ জন প্রার্থী স্বেচ্ছায় প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্তভাবে ৪৭১ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে।
ফলে আদালতের নতুন নির্দেশনার কারণে ডাকসু নির্বাচন ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চালিয়ে যেতে আর কোনো বাধা থাকলো না।
এসআর
মন্তব্য করুন: