editor.protidinerbangla@gmail.com মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
২ আশ্বিন ১৪৩১

ইসলামবাগ আশরাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়

শব্দ দূষণে বিঘ্নিত পাঠদান

সাইদুর রহমান

প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৯:২০ পিএম

রাজধানীর ইসলামবাগ আশরাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়।

প্রতিষ্ঠানটির সম্মুখভাগ ও পাশে কয়েকগজের মধ্যেই সারিবদ্ধভাবে গড়ে উঠেছে নানা ধরনের কলকারখানা ও ভাঙ্গারির দোকান।

এ সব কলকারখানায় দিনরাত কাজ চলে কাটার মেশিন, দানা মেশিন ও ওয়েল্ডিং মেশিনে।

এসব মেশিনের গড়গড় শব্দ, লোহার টুং টাং আওয়াজে প্রকম্পিত পুরো স্কুলের ক্যাম্পাস। এমনকি আওয়াজের কারনে ক্লাসরুমেও ঠিকমতো ক্লাস করতে পারেনা শিক্ষার্থীরা। ফলে শব্দদূষণে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা।

কেবল তাই নয় ঝালি পোড়ানো, পুরাতন পলিথিন, ভাঙ্গারি মালামাল ও ময়লা আবর্জনার স্তুূপ থেকে প্রতিনিয়তই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এসব ময়লা আবর্জনা থেকে ক্যাম্পাসের সামনে মশা, মাছির উৎপাতে শিক্ষার্থীরা মাসের পর মাস অসুস্থই থাকছেন।

এদিকে গতকাল সোমবার রাজধানীর চকবাজারে অবস্থিত ইসলামবাগ আশরাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এসব কারখানা বন্ধে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে এসব কারখানায় বন্ধের দাবি জানান।

অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী আনন্দ, জিদান,নির্ঝর, বিপ্লব বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসের সামনে শিক্ষার কোন পরিবেশ নেই। আমরা বিভিন্ন মেশিনের আওয়াজে ক্লাস করতে পারিনা। এছাড়া ময়লা আবর্জনার কারণে ক্যাম্পাসে ব্যপক দুর্গন্ধ ছড়ায়।

ইসলামবাগ আশরাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক শাহানাজ পারভীন বলেন, গত প্রায় ৫ বছর আগে এসব কারখানা বন্ধ হয়েছিল। পরবর্তীতে তারা আবার কারখানা চালু করে। কারখানার বিকট শব্দে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করাতে পারিনা। মনোসংযোগ নষ্ট হয়। এছাড়া আমাদের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়তই নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তর ও শিক্ষা উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।  

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে এই সব কারখানা দ্রুত স্থানান্তর করা প্রয়োজন।

আমরা একাধিকবার এই সব কলকারখানার বন্ধ করার জন্য মালিকদের অনুরোধ করেছি। তারা আমাদের কথার কর্ণপাত করেননি।

জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। আওয়ামী লীগের বিগত ১৬ বছরে এসব অবৈধ কলকারখানা গড়ে উঠেছে ক্যাম্পাসে সামনে। সাবেক আওয়ামী লীগের এমপির আশীর্বাদপুষ্টরা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে এসব অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলে।


বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে গড়ে উঠা এসব কলকারখানা মূলত অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে। এসব কারখানার  নেই কোন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র।

এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা মহানগর শাখার সহকারী পরিচালক হোসেন শুভ মুঞ্জুরী বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে দ্রুত কারখানা বন্ধে উদ্যোগ নেব। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর