[email protected] বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫
২৫ পৌষ ১৪৩১

‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-পালিত

আন্তর্জাতিক নাগরিক হয়ে উঠার জন্য আমাদের অন্য ভাষা চর্চার প্রয়োজন-  গণ শিক্ষা উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৭:০৫ পিএম
আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৭:০৯ পিএম

বহু ভাষায় শিক্ষার প্রসার: পারস্পরিক সমঝোতা ও শান্তির জন্য সাক্ষরতা” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে “আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৪।

এ উপলক্ষ্যে রবিবার ঢাকায় তেজগাঁওস্থ উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।


প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, শিক্ষা মানুষের অধিকার।

১৯৭২ সালে প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ নং অনুচ্ছেদে নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সাক্ষরতা বিস্তারে এ সাফল্যের জন্য আমরা ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার পেয়েছি।

সাক্ষরতার ক্ষেত্রে অগ্রগতি আশানুরূপ নয়। আমরা অবৈতনিক শিক্ষা ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করেছি। শুধু অবৈতনিক শিক্ষা নয়; আমরা উপবৃত্তি দিচ্ছি, বইপত্র দিচ্ছি, স্কুলে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা কোন কোন স্কুলে হচ্ছে; সেটিকে আরো বিস্তৃত করার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, ভাষা ছাড়া অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না, শিশুরা মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করতে না পারলে তাদের ডেভেলপ হতে সমস্যা হয়। আমরা শুধু দেশের নাগরিক না, আমরা এখন আন্তর্জাতিক নাগরিক। যোগাযোগ, যাতায়াত, অর্থনীতি, সবদিক দিয়ে বিশ^টাই একটি একীভূত বিষয় হয়ে গেছে।

আন্তর্জাতিক নাগরিক হয়ে উঠার জন্য আমাদের অন্য ভাষা চর্চা করা প্রয়োজন। আমাদের বাচ্চাদেরকে যদি বহু ভাষাভাষী করে গড়ে তুলতে পারি তাহলে তারা দেশের জন্য সম্পদ হয়ে দাঁড়াবে। যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি তাহলে দেশ ঠিক হয়ে যাবে।

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক নুরজাহান খাতুন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুস সামাদ, বাংলাদেশস্থ ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুসান ভাইজ প্রমুখ।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, দক্ষতাভিত্তিক সাক্ষরতা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর