মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবার সুষ্ঠু তদন্ত, বিচার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোচিং বাণিজ্য বন্ধসহ ৮ দফা দাবিতে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি গোলচত্বর এলাকায় কাফন মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে এই কর্মসূচিতে নিহত ও আহতদের অভিভাবকরা অংশ নেন।
অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, সন্তান হারানোর পরও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো সহমর্মিতা দেখায়নি। বরং ঘটনার ২০ দিন পর অধ্যক্ষ নূরনবী স্কুল রক্ষায় স্বাক্ষর নিতে তাদের ওপর চাপ দেন, যা তারা প্রত্যাখ্যান করেন।
তারা আরও জানান, এখনো স্কুল কর্তৃপক্ষ ও বহিরাগতরা হুমকি দিচ্ছে এবং মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের জোর করে বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। টিসি (ছাড়পত্র) দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
তাদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক কোচিং করানো হয় এবং কোচিং বাণিজ্যের মাধ্যমে অধ্যক্ষ নূরনবী ও প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা আক্তারসহ অনেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
দাবিসমূহ:
১. সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা।
২. মাইলস্টোনসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ।
৩. সরকারের পক্ষ থেকে নিহত ও আহতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ।
৪. নিহতদের পরিবারকে ২ কোটি টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার পুরো ব্যয় স্কুল কর্তৃপক্ষের বহন।
৫. রানওয়ে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান—যেটি ঝুঁকিপূর্ণ, তা সরানো।
৬. ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা আক্তারকে অপসারণ।
৭. স্কুলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ।
৮. বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ জনবসতিহীন এলাকায় স্থানান্তর।
এ সময় অভিযোগ ওঠে, কাফন মিছিলে অংশ নেওয়া নিহত তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সায়মার বাবাকে শিক্ষক নোমান লাঞ্ছিত করেন।
এ ঘটনায় তার পদত্যাগ দাবি যুক্ত হয়ে দাবি সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ দফায়।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুরে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ ৩৪ জন নিহত হন।
এসআর
মন্তব্য করুন: