বর্ষাকে ঘিরে বৃষ্টি আর সজলতার বাইরেও থাকে মানবিকতা আর সৃজনশীলতার এক অন্যরকম আবহ—ঠিক তেমনই এক ব্যতিক্রমী আয়োজন ছিল ‘বর্ষায় রোদ্দুর
৪ আগস্ট কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ক্যাম্পাসে এ আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল ক্লাব।
সাংস্কৃতিক ভাবনা ও সামাজিক দায়বদ্ধতাকে একসঙ্গে মিলিয়ে আয়োজনটি পরিচালনায় ছিলেন ইংরেজি বিভাগের প্রধান ও ক্লাব উপদেষ্টা রেজিনা সুলতানা এবং সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন ফেয়ার ইসলাম খেয়া।
দিনব্যাপী উৎসবটি পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত মিলনমেলায়। শিক্ষার্থীদের হাতে তৈরি মৌসুমি খাবার, কসমেটিকস, ও নানান পণ্যে সজ্জিত স্টলগুলোর মধ্য দিয়ে তারা তুলে ধরেন সৃজনশীলতা ও উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ। দেশীয় ফলের ‘ফল উৎসব’ ছিল অন্যতম আকর্ষণ।
উৎসবের একটি তাৎপর্যপূর্ণ অংশ ছিল ত্রাণ তহবিল সংগ্রহ, যা শিক্ষার্থীদের মানবিক চেতনার প্রকাশ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজনেস স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. জহুরুল আলম এবং জয়েন্ট রেজিস্ট্রার এ এস এম জি ফারুক। তারা শিক্ষার্থীদের এ উদ্যোগকে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসেবে মূল্যায়ন করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই রেজিনা সুলতানা শিক্ষার্থীদের মানবিক ও সৃজনশীল প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, “এই আয়োজন প্রমাণ করে—তোমরা শুধু পড়াশোনাতেই সীমাবদ্ধ নও, সমাজ পরিবর্তনের শক্তিও ধারণ করো।”
‘বর্ষায় রোদ্দুর’ শুধু একটি উৎসব নয়—এটি হয়ে উঠেছে এক প্রজন্মের মানবিক বোধ আর সাংস্কৃতিক চেতনার দীপ্ত বহিঃপ্রকাশ।
এসআর
মন্তব্য করুন: