রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আরও এক কিশোরের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শোকের মিছিলে নতুন অধ্যায় যুক্ত হয়েছে।
আজ শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে ১৪ বছর বয়সী জারিফ নামের ওই কিশোর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
সকাল ৯টা ১০ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুর পরও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জারিফের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
গত ২১ জুলাই দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এর আগে, দুপুর ১টা ৬ মিনিটে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বিমানঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়।
দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকীর ইসলাম বিমানটি জনবসতি এড়িয়ে নিরাপদ এলাকায় নামানোর চেষ্টা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি মাইলস্টোন স্কুলের দোতলা ভবনে আছড়ে পড়ে।
দুর্ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা উদ্ধারকাজে অংশ নেন এবং আহতদের দ্রুত আশপাশের হাসপাতালে পাঠানো হয়। পাইলটসহ এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪ জন। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক, যাদের বেশিরভাগই শিশু শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক। এখনো অন্তত ৫০ জন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহতদের চিকিৎসায় সহায়তা দিতে চীন, ভারত ও সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম ঢাকায় এসেছে। তারা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
ঘটনার দিনই একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিমানবাহিনী। কমিটি দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
এসআর
মন্তব্য করুন: