এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব কেন হলো, তা ব্যাখ্যা করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
বুধবার (২৩ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমি নিজেই সাংবাদিকদের ডাকার কথা ভাবছিলাম। আপনারা যখন এসেছেন, তখনই বিষয়টি জানিয়ে দিচ্ছি।”
তিনি জানান, মাইলস্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনার পরপরই তিনি সিএমএইচ ও বার্ন ইউনিটে যান এবং সেখানে রাত ১০টা পর্যন্ত অবস্থান করেন। এরপর বাসায় ফেরার সময় পরীক্ষার বিষয়টি সামনে আসে। কেউ পরীক্ষা চালু রাখতে, কেউ আবার স্থগিত করতে চাইছিলেন। বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়।
“এটি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নয়, যা হুট করে নেওয়া যায় বা এককভাবে নেওয়ার এখতিয়ার কারও নেই,” বলেন তিনি।
তিনি আরও জানান, প্রশ্নপত্র বিতরণ, স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিতকরণসহ একাধিক বিষয় নিশ্চিত করে পরীক্ষার স্থগিতাদেশ চূড়ান্ত করা হয়।
অনেকে মনে করছেন, আগেই পরীক্ষা স্থগিত করা যেত। এ বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার মন্তব্য, “এই ধারণা সঠিক নয়। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “মাইলস্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো গাফিলতি ছিল না। আমার পদত্যাগের কোনো ইচ্ছেও নেই। তবে নিয়োগকারী চাইলেই আমি সরে যাবো।”
এছাড়া শিক্ষা সচিবের অপসারণ সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। এইচএসসি পরীক্ষার নতুন তারিখ পর্যায়ক্রমে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসআর
মন্তব্য করুন: