নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় মাত্র চারজন শিক্ষার্থী।
কেউই পাস করতে পারেনি। টানা দ্বিতীয় বছর এই বিদ্যালয়ে পাসের হার শূন্য।
২০২৪ সালে এই প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মাত্র দুইজন শিক্ষার্থী, তারাও ফেল করেছিল। এ বছর সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় চারজনে, তবে ফল একই—শতভাগ অকৃতকার্য।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বিদ্যালয়টির একাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়া যায় ২০১১ সালের জানুয়ারিতে।
নথিপত্রে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭৫ জন দেখানো হলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে, মাঠে রয়েছে গবাদিপশু। স্থানীয়দের অভিযোগ—বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান না থাকলেও শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ঠিকই উত্তোলন করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জলিল মিয়া বলেন, “স্কুলে ক্লাস হয় না বললেই চলে। মাসের পর মাস তালাবদ্ধ থাকে।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকতার হাবিব সরকারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সহকারী প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান জানান, “এবার চারজন পরীক্ষার্থী ছিল, কেউ উত্তীর্ণ হয়নি।”
ডিমলা উপজেলার সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আফরোজা বেগম বলেন, “দুই বছর ধরে পাস না করায় বিষয়টি তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: