[email protected] শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
২৮ আষাঢ় ১৪৩২

এসএসসির ফল নিয়ে শিক্ষার্থীদের আশাব্যঞ্জক বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০২৫ ১০:৩০ পিএম

সংগৃহীত ছবি

আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) প্রকাশিত হবে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল।

এবারের ফলাফলে শিক্ষার্থীদের মেধার প্রকৃত মূল্যায়ন প্রতিফলিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সিআর আবরার।

বুধবার (৯ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় তিনি বলেন,
"এই ফলাফলে শিক্ষার্থীরা যেভাবে পরীক্ষা দিয়েছে, সেভাবেই তাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। অতীতের মতো ফলাফল ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে উপস্থাপন করা হয়নি। আমরা একটি সচ্ছ, স্বচ্ছল ও নিরপেক্ষ মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে চেয়েছি।"

তিনি বলেন,
"গত ১৬ বছরে সরকারের সাফল্য দেখানোর প্রবণতায় বহুবার অতিরঞ্জিত ফলাফল দেওয়া হয়েছে। নম্বর বাড়িয়ে, জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বাড়িয়ে ফল প্রকাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মেধা আড়াল করা হয়েছে। আমরা সেই সংস্কৃতি থেকে সরে এসেছি।"

বদলে গেছে ফল প্রকাশের প্রক্রিয়াও

ড. আবরার জানান, এবার ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনও আনুষ্ঠানিকতা বা রাজনৈতিক ‘ফটোসেশন’ থাকছে না। শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করবেন এবং শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই অনলাইনে ফলাফল জানতে পারবে।

তিনি বলেন,
"আগে ফল প্রকাশের সময় শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে ফটোসেশন করতেন। আমরা এই অপ্রয়োজনীয় রীতি থেকে বেরিয়ে এসেছি।"

প্রশ্নফাঁস রোধে কঠোর নজরদারি

শিক্ষার্থীদের মেধার সঠিক মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে নেওয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন,
"এবারের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, অভিভাবক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবাই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন। এজন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।"

দ্রুত ফল প্রকাশে ইতিবাচক প্রভাব

দ্রুত ফলাফল প্রকাশের গুরুত্ব তুলে ধরে ড. আবরার বলেন,
"অতীতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশে তিন মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেত। এবার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হচ্ছে দুই মাস শেষ হওয়ার আগেই। এতে শিক্ষার্থীরা দ্রুত পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে যুক্ত হতে পারবে এবং অতিরিক্ত দুই মাস ক্লাস করার সুযোগ পাবে।"

গুণগত ফলাফলেই গুরুত্ব

তিনি বলেন,
"আমরা জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানোর চেয়ে গুণগত ফলাফলকে প্রাধান্য দিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের মেধার সঙ্গে সুবিচার করতে হলে তাদের প্রকৃত ফলাফলই তুলে ধরতে হবে।"

শিক্ষা উপদেষ্টা আরও আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন,
"আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা পাবলিক পরীক্ষার মাধ্যমে যেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তাদের প্রকৃত মেধা তুলে ধরতে পারে। এই নীতিতে আমাদের আন্তরিকতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর