[email protected] শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
২৮ আষাঢ় ১৪৩২

পাঠ্যপুস্তকে ভুল সংশোধনে শিক্ষকদের মতামত চাইল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২৫ ৪:২২ পিএম

সংগৃহীত ছবি

২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে বিদ্যমান ভুল, অসংগতি ও বৈষম্যমূলক উপাদান চিহ্নিত করে সংশোধনের লক্ষ্যে শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রশাসকদের কাছ থেকে সুপারিশ চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনায় জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকেরা নির্দিষ্ট ছক অনুসারে পাঠ্যবই পর্যালোচনা করে ভুল চিহ্নিত করবেন এবং যথাযথ যুক্তিসহ সংশোধনের প্রস্তাব পাঠাবেন। সুপারিশ পাঠাতে হবে হার্ড কপির পাশাপাশি সফট কপিতে (নিকোশ ব্য়ান ফন্ট, সাইজ ১২) ই-মেইলের মাধ্যমে [email protected] ঠিকানায়। সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে সোমবার, ৭ জুলাই পর্যন্ত।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, আইসিটি, ইসলাম শিক্ষা, হিন্দুধর্ম, কৃষিশিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের প্রচলিত বইগুলো পর্যালোচনার আওতায় আনা হয়েছে।

প্রস্তাবনায় সংশ্লিষ্ট অধ্যায়, পৃষ্ঠা ও লাইনের তথ্য, বর্তমান লেখা ও সংশোধনের যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা সংযুক্ত করতে হবে। ২০১২ সালের জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রতিটি বিষয়ের শিখনফল অনুসরণ করে প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের খসড়া পাঠ্যপুস্তকও পর্যালোচনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা কিংবা পেশা সম্পর্কিত বৈষম্যমূলক শব্দ, তথ্য বা ছবি এবং ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িকতা, দেশপ্রেম ও জাতীয় চেতনাবিরোধী উপাদানগুলো সংশোধনের জন্য সুস্পষ্ট প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে।

তথ্য যাচাই করে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে হালনাগাদ তথ্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাংলা একাডেমি প্রণীত বানান অনুসরণে প্রয়োজনে বানান সংশোধনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে পাঠ্যবইয়ের মূল কাঠামো অপরিবর্তিত রেখে শুধুমাত্র সংশোধনযোগ্য অংশে প্রস্তাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ছক ছাড়াও অতিরিক্ত মতামত থাকলে তা আলাদা কাগজে নাম ও স্বাক্ষরসহ সফট কপিতে জমা দিতে হবে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর