পরীক্ষায় অসদুপায় ও নকল ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
একইসঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলো ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৫ জুলাই) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. এনামুল করিম স্বাক্ষরিত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে দায়িত্বে অবহেলা, কক্ষ পরিদর্শকদের অসতর্কতা এবং প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র ব্যবস্থাপনায় একাধিক গুরুতর অনিয়ম লক্ষ্য করা গেছে। এ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,
বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, কিছু শিক্ষার্থী অতিরিক্ত উত্তরপত্র নিয়ে তা বাইরে পাচার করছে এবং পরবর্তী পরীক্ষায় তা জমা দিচ্ছে। কেউ কেউ পরীক্ষার মূল উত্তরপত্রও হল থেকে লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের অনিয়ম রোধে কক্ষ পরিদর্শকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—সব শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করার আগে উত্তরপত্রের সংখ্যা যাচাই করতে হবে। কোনো পরীক্ষার্থী উত্তরপত্র না জমা দিয়ে বেরিয়ে গেলে তার ওএমআর ফরম ও কক্ষের অন্যান্য উত্তরপত্র আলাদা করে সংরক্ষণ করতে হবে এবং তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে জানাতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরীক্ষাকেন্দ্র ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত করতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড যাচাই করে পরীক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে হলে প্রবেশ করলে সেটিকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে কক্ষ পরিদর্শকদের গাফিলতির বিষয়ও নজরে এসেছে। বিশেষ করে, রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও কোর্স কোডে গড়মিল দেখা যাচ্ছে, কারণ অনেক শিক্ষক যথাযথ যাচাই না করেই উত্তরপত্র ও হাজিরা ফরমে স্বাক্ষর করছেন। এই গাফিলতির দায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের ওপর বর্তাবে এবং প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, কোনোভাবেই নকল বা অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। পরীক্ষার শুদ্ধতা বজায় রাখতে কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: